পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ সাহিত্য-রত্নাবলী । এক্ষণে যে সকল জাতি সভ্যতাতে আরোহণ করিয়াছেন, তাহারা এই অধ্যাত্ম-বিষয় গ্রহণের শক্তির গুণেই উন্নত হইয়াছেন। সেই সকল জাতির মধ্যে বহুসংখ্যক ব্যক্তির এই আধ্যাত্ম-পরায়ণতা থাকাতেই তেঁাহারা DDD BD uDBDDBO S DB BYY LEDS DDD BDDBDBDSBBDBBBBB ও এ জ্ঞান আছে যে কেবল অর্থেপাৰ্জন ও পানাহার নিদ্রাদির দ্বারা মানবজীবনের মহত্ত্ব হয় না ; ইহার অতিরিক্ত আরও কিছু চাই। মহাত্মা ধীশু বলিয়াছিলেন, মানব কেবলমাত্র অন্ন পান দ্বারা জীবন ধারণ করে না ; কিন্তু ঈশ্বরের মুখবিনিস্থত প্ৰত্যেক বাণীর দ্বারা জীবিত থাকে। সত্য ঈশ্বরের মুখ বিনিস্থত বাণী। সত্যই দেবভোগ্য অমৃত । সত্যের দ্বারা যিনি জীবন ধারণ করেন। তিনিই জীবিত। মানব জীবনের মহত্ত্ব সাধন বিষয়ে এই একটি প্রধান স্মরণীয় বিষয়। দ্বিতীয় পার্থক্য এই দেখি, মানব প্ৰকৃতিতে অনুতাপের গভীরতা এবং আত্ম-প্ৰসাদের উচ্চতা আছে। কোন ইত্যর প্রাণীতে এই দুইয়ের একটি দেখিতে পাওয়া যায় না। কুকুর কোনও দোষ করিলে তাহার। প্ৰভু বাড়ী আসিয়া তাহার মুখ দেখিলেই বুঝিতে পারেন, এরূপ ঘটনা অনেক দেখিতে পাওয়া যায় বটে, কিন্তু অনুতাপের পরিচায়ক নহে, কেবল মাত্র সাজা পাইবার ভয়েই তাহদের মুখের ঐ রূপ ভাব হইয়া থাকে। প্ৰকৃত অনুতাপ ইত্যর প্রাণীতে নাই। ভূতকালে কোন গৰ্হিত কাৰ্য্য করিয়াছে বলিয়া তাহারা কি কখনও যাতনা পাইয়া থাকে ? এক সময়ে একজন ইউরোপীয় ভদ্র লোক একটি ঘটনার উল্লেখ করিয়াছিলেন। সেটা এই যে তিনি ভারতবর্ষে আসিবার পূর্বে নিজ স্বত্তরের নিকটে বিদায় লইতে গেলেন। র্তাহার শ্বশুর যৌবনকালে ধৰ্ম্মানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন না ; ঘোর বিষয়ী এবং ধৰ্ম্মে উদাসীন ছিলেন। বাৰ্দ্ধক্যে তঁহার হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটিয়াছিল ; তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী হইয়াছিলেন।