পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতবর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। যোগবশিষ্ঠ গ্রন্থে নিম্নলিখিত বচনটি প্রাপ্ত হওয়া যায় ;- তরবোহপি হি জীবন্তি জীবন্তি মৃগপক্ষিণঃ। স জীবতি মনো ব্যস্ত মননেন হি জীবতি ৷ অর্থ -তরুলতাও জীবন ধারণ করে, পশু পক্ষীও জীবন ধারণ করে ; কিন্তু সেই প্রকৃতরূপে জীবিত, যে মননের দ্বারা জীবিত থাকে। মনন শব্দের অর্থ মনের ক্রিয়া বা ব্যাপার। লুতাতন্তুর ন্যায় অথবা ক্ষৌমকীটের ক্ষৌমকোষের ন্যায় মন সর্বদাই কিছু বুনিতেছে ; আপনার আন্তনিহিত জ্ঞানসামগ্ৰী সকলের সাহায্যে সর্বদাই নব নব আদর্শ রচনা করিতেছে, মনের এই যে অবিশ্রান্ত গঠনকাৰ্য্য ইহার নাম মনন। ইহা ‘মানবেরই স্বধৰ্ম্ম, অপর জীবে নাই । মানুষের দুইটা জীবন আছে, এক দেহ-রাজ্যে, আর এক” এই মনন-রাজ্যে। দেহ রাজ্যের জীবন সমান্য, সংকীর্ণ ক্ষেত্রে আবদ্ধ এবং শক্তি, সময় ও সুবিধাদিদ্বারা নিয়মিত ; কিন্তু মনন-রাজ্যের জীবন অতি মচৎ, সুদূর-প্রসারিত ও গগন-সঞ্চারী বায়ু স্রোতের ন্যায় স্বাধীন। জগীতের অহামনা ব্যক্তিগণ দেহরাজ্যের জীবনকে তুচ্ছ, জানিয়া মনন-রাজ্যের জীবনকেই সার জ্ঞান করিয়াছিলেন । বিশেষতঃ র্যাহারা মানবসমাজের সংস্কার কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইয়াছিলেন, তঁহারা আপনাদের মনন-রাজ্যেই অধিকাংশ সময় বাস করিতেন। তঁহাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে তন্মধ্যে কতকগুলি উপাদান খৃষ্ট হয়। তাহার মধ্যে প্রধান