পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতব্যয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ! ቐጭ লেন, তাহার প্রধান কারণ এই দেখান যে চাকুরি না করিয়াও তিনি সুখে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে সমর্থ। পূর্বে যে বৰ্ত্তমানে অতৃপ্তি, ভবিষ্যৎ রচনা ও নিজ আদর্শে আসক্তি এই তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করিয়াছি, যাহা মানব প্রকৃতির গভীর রহস্য এবং যাহা মানবজাতির মুখপাত্র স্বরূপ প্ৰত্যেক মহাজনে দৃষ্ট হইয়াছে, উহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান ছিল। তিনি হৃদয়ে যে DDD BBBDY SSDLS BDDBDB BBBJS DDDS StDDBDBSBDDD BDDBu তুলনাতে বৰ্ত্তমানকে তঁাহার এতই হীন বোধ হইত, যে, বৰ্ত্তমানের বিষয়ে কথা উপস্থিত হইলে তিনি সহিষ্ণুতা হারাইতেন। তঁহার জীবনের শেষভাগে যখন আর তঁহার পূর্বের ন্যায় খাটিবার শক্তি ছিল না, তখন এই অতৃপ্তি ভূগৰ্ভশায়ী প্ৰদীপ্ত অনলের ন্যায়। তাতার অন্তরে বাস করিতেছিল; প্রসঙ্গ উপস্থিত হইলেই ঐ অনল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ন্যায় জ্বালারাশি প্রকাশ করিত। তাহার কোমল ও পল্পদুঃখ-কাতর হৃদয়ে বৰ্ত্তমান সমাজের অসারতা, কৃত্রিমতা ও অসাধুত এতই আঘাত করিত যে, বৃশ্চিক দংশনের স্থায় তাহাকে যাতনাতে অস্থির করিয়া তুলিত। এমন কি তিনি ক্ষোভে দুঃখে ঈশ্বরকে গালাগালি দিতেন। এক দিন তিনি কোন এক হতভাগিনী বিধবাকে দেখিয়া নিজ গৃহে ফিরিয়া আসিলেন ; তখন তঁহার পরিচিত কয়েক জন বন্ধু বসিয়ছিলেন ; তঁহারা তাহাকে উত্তেজিত দেখিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন ; তিনি বলিলেন,-“এই জগতের মালিককে যদি পাই, তাহলে একবার দেখি! এ জগতের মালিক থাকলে কি এত অত্যাচার সন্থ , কয়েঞ্চ” এই ঘলিয়া কিরূপে দুষ্ট লোকে ঐ বিধবাটর সর্বস্ব হরণ কেরিয়াছে।...তাহা বলিতে । লাগিলেন, দরদীয় ধীরে তঁাঙ্কার দুই চন্ধে, জলধাক্কা বৰ্হিতে লাগিল। ফল