পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ সাহিত্য-রত্নাবলী । লাগিলাম। পীড়ার অপশম না হইয়া ক্রমেই বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইতে লাগিল। অবশেষে আমি তাহার জীবনাশা পরিত্যাগ করিলাম । সেই সময়ে সে একদিন আমাকে বলিল,-“যদি পাের আমার পিতাকে আনিয়া একবার আমার সহিত সাক্ষাৎ করাইয়া দেও ; আমি তঁাহার কাছে মার্জনা চাহিব৷ ” এই অনুরোধটা আমার মনে বড়ই লাগিল । অথচ তাহার পিতার সহিত আমার পরিচয় ছিল না । কাহার সাহায্যে এই ঘটনা সংঘটিত করি, তাহাই চিন্তা করিতে লাগিলাম। শেষে নিৰ্দ্ধারণা করিলাম বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শরণাপন্ন হওয়া ভিন্ন গতি নাই । তঁহার কোপের কথা জানিতাম, তথাপি তঁহার ভালবাসার প্রতি নির্ভর করিয়া, আবদার করিয়া ধরিব ভাবিয়া, তাহার নিকটে গমন করিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি রে, কি মনে করে ?” আমি বলিলাম-“একটা অনুরোধ করতে এসেছি, কিন্তু বলতে ভয় করছে।” তিনি অভয় দান করিলে অনুরোধটি জানাইলাম। এত ত অভয় দিয়াছিলেন, তথাপি তাহার নাম শুনিবা মাত্ৰ মনের আবেগ রক্ষা করিতে পারিলেন না ; আমাকে তিরস্কার করিয়া বলিলেন,-“তুই এরূপ লোকের সঙ্গে বন্ধুতা রাখিস, যাকে দেখলে জুতাতে ইচ্ছে করে! তার অনুরোধ আমার কাছে আনিস! আমার দ্বারা এ কাজ হবে না।” আমি সেই কুপিত সিংহের গৰ্জ্জুনে ভীত ও স্তব্ধ হইয়া কিছুক্ষণ বসিয়া রহিলাম। শেষে বলিলাম,- SBB DDLDBBD D D DBBS DBDB DBBD BDBBDD DBS DB DS DBB বুঝলাম }ানুষটার মৃত্যুকালের অনুরোধ রাখতে পারলাম না ; আমার {া বিদ্যাসাগর লহাশয় বুঝিলেন আমি দুঃখিত অন্তরে তঁহার ঘর পরিত্যা করিতেছি। উঠিবার সময় বলিলেন,-“বোস, যাস নে, কাল প্রাতে ৮টার সময় তার ব্যাপকে তোর বাড়ীতে আনবো, তুই ঘরে থাকিস। তৎপরে : করিয়া তিনি সেই গৰ্ব্বিত ধনী পিতাকে আমার ভবনে ধরিয়া