পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 मङ्ङि)-द्रङ्मादर्ली । দেখিয়া বলিলেন, “মাপ চাইতে এসেছিস্ বুঝি ? আরে দুদিন সবুর কক্স ; প্রাতে রেগে এসেছি, দুদিন যাক, রাগটা একটু পড়ুক।” কি অমায়িক কি অকৃত্ৰিম ! কি মহামনা মানুষ । একবার এক বিধবা বিবাহের নিমন্ত্রণ সভাস্থলে তাহার একজন বন্ধু নিজের একটি সপ্তম কি অষ্টম বর্ষীষা বালিকাকে আনিয়া তাহাকে প্ৰণাম করাইলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন,--”বেঁচে থাক মা, বিয়ে হোক, বিধবা হও, আমি আবার বিয়ে দি ” এই আশীৰ্ব্বাদ শুনিয়া সভাস্থ সকলে অট্টহাস্য করিয়া উঠিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় হাসিয়া বলিলেন, “আরো আমার বন্ধুদের মেয়েরা বিধবা না হলে আমি বিবাহ দিব কার ?” তাহার কাজ কৰ্ম্ম, আলাপ পরিচয়, আমোদ প্ৰমোদ, সকলের মধ্যে এমন এক অকৃত্রিমতা দেখিতাম, যাহা দেখিয়া মন মুগ্ধ হইয়া যাইত। আমরা মানুষ, আমরা আসল মানুষ ধরিতে পারিলে বড় সুখী হই । এইজন্য বড় লোকদিগের জীবন চরিত পাঠ করিবার সময়ে তাহারা দশের মাঝে কি কাজ করিয়া ছিলেন, প্ৰকাশু সভায় কি বলিয়াছেন, উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া কি করিয়াছিলেন, তাহা জানিবার জন্য তত ব্যগ্ৰ হই না ; কিন্তু গৃহে, পরিাবারে, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে কি করিয়াছিলেন বা কি বলিয়াছিলেন তাহা শুনিতে ভালবাসি, কারণ সেখানে আসল মানুষটি ধরিতে পারা যায়। আমাদের যে এই আসল মানুষ দেখিবার কামনা, তাহা বিদ্যাসাগর সম্পূর্ণ চরিতার্থ হইয়াছিল। পরিশেষে যে উক্তি স্মরণ করিয়া প্ৰবন্ধ আরম্ভ করিয়াছিলাম, তাহাই ণ করিয়া প্ৰবন্ধের উপংহার করিতে যাইতেছি। ঋষি ঠিক কথা বলিয়াইেছন, মননের দ্বারা যে জীবিত থাকে, সেই প্ৰকৃত ভাবে জীবিত । জীবনের ধনধান্য লইয়া জীবন নহে, কে কত উপার্জন করে, কে কত সঞ্চয় করি, তাহা লইয়া জীবনের বিশালতা ও বিস্তৃতি নহে; কিন্তু কে