পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांग \S कढ् । t দেখিতে পাওয়া যায়, তখন তাহাদের সংখ্যা এত অধিক হয় যে, কলসটী বুড়াইতে গেলেই তন্মধ্যে অনেক কুলীরক যায়। কাপড় দিয়া জল ছাকিলেই রাশি রাশি কুলীরিক উঠে। এখন প্রশ্ন এই, এত ভেকশিশু বা এত কুলীরক কোথায় যায় ? সকলগুলি কি জীবিত থাকে ? সকলগুলি জীবিত থাকিলে কি আর আমরা পা বাড়াইতে পারি, বা গঙ্গাজলে অবগাহন করিতে পারি ? নিশ্চয় এতগুলির জন্ম বঁচিবার জন্য নহে, অল্পসংখ্যক থাকিবে, বহুসংখ্যক মরিবে এই জন্য। এখন কেহ প্রশ্ন করিতে পাবেন, যদি তাহারা মরিবে তবে বিধাতা তাহাদিগকে জগতে আনিলেন কেন ? অষ্টাদশটীর দ্বারা দুইটীকে বলবান করিয়া লইবেন। বলিয়াই তাহদের সৃষ্টি । ইহাকেই পণ্ডিতেরা বলিয়াছেন, জীবন a জীবন-সংগ্রাম যেমন জীব-জগতে আছে, যে জীব চলিয়া যায়, সে যে থাকে তাহাকে সবল করিয়া যায়, আসলকে বলশালী করিয়া রাখিয়া যায়। রাবণ মরিয়া যায়, কিন্তু রামকে জয়শালী করিয়া যায়। বিধাতার অভি= প্ৰায় যাহাই হউক, মানব জীবনে দেখিতেছি, মানব ইতিবৃত্তে দেখিতেছি, ঈশ্বরের এই সত্যময় জগতে নকলের, অসত্যের, বাঁচিবার আশা নাই । ইহা দেখিয়াই ঋষিরা বলিয়াছিলেন ;- “সমূল্যে বা এস পরিশুষ্যতি যোবৃত মভিবদতি ” যে অসত্যকে আশ্রয় করে সে সমূলে পরিশুষ্ক হয় । অৰ্থাৎ মূল্যহীন বৃক্ষের যেমন যেমন এ জগতে বাঁচিবার উপায় না, তেমনি যাহা মিথ্যা যাহা অসত্য, যাহা নকল, তাহারত বাঁচিবার উপায় নাই। 'তবে নকল কিছুকাল আসলকে ঘিরিয়া তাহার শক্তি ও মূল্য বাড়াইয়া দেয় এইমাত্ৰ। সকল মানব সমাজে ঘুরিয়া বেড়ায় বটে, চাকুচিক্যদ্বারা অনেক সময়ে চিত্ত হুয়ণ করে বটে, কিন্তু মানব প্রকৃতি কাহাকে, চায় ? কাহার অাদর