পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুদের সাক্ষ্য। e “ঈশ্বর তোমাদের পিতা, এ রাজ্য র্তাহারি রাজ্য, তোমরা সমগ্ৰ মন, সমগ্ৰ হৃদয় ও সমগ্ৰ শক্তির সহিত তাহাকে প্রীতি কর ও র্তাহার ইচ্ছাতে আত্ম-সমৰ্পণ কর।” মহম্মদ বলিলেন-“মহান প্ৰভু পরমেশ্বর, জগত তঁহারই রাজ্য, তোমরা সম্পূর্ণরূপে তাহার আজ্ঞাধীন হও।” কথাটা DD DBBDBD D D BBBBDD DuD BB DD BBDB BDB KDD DDDBLLYS প্রথম কথা এই, এ জগতে মানুষ কৰ্ত্ত নহে, তাহার উপরে আর এক । শক্তি আছে, যাহা ব্ৰহ্মাণ্ডকে ও মানবের ভাগ্যকে নিয়মিত করিতেছে ; দ্বিতীয় কথা। এই, প্ৰবৃত্তি-কুলকে সংযত করিয়া, আত্ম-বিলোপ করিয়া, সেই শক্তির অনুগত হওয়াই মানবের পক্ষে সদগতি । দেখিতেছি ইন্দ্ৰিয়াতীত শাসন-শক্তিতে বিশ্বাস ও প্রবৃত্তিকুলকে সেই শাসনের অনুগত করা, এই দুইটিই নকল সম্প্রদায়ের সকল সাধুর সাধনের ভিতরকার কথা। ইহা মানব-প্রকৃতির একটা গুঢ় রহস্য যে, যাহারা মানবকে যথেচ্ছাচার করিতে বলিয়াছে, প্ৰবৃত্তিকুলের অনিয়ত চরিতার্থতার উপদেশ দিয়াছে, তাহারা মানবের হৃদয় মন আকর্ষণ করিতে পারে নাই ; কিন্তু যাহারা মানবকে আত্ম-সংযমের উপদেশ দিয়াছেন,-বলিয়াছেন “উদাম প্ৰবৃত্তিকুলকে বাধ্যও ধৰ্ম্মশাসনের অনুগত কর,” তাহারাই হিতৈষী বন্ধু ও আচাৰ্য্য, উপদেষ্টা বা গুরুরূপে গৃহীত হইয়াছেন। সর্বদা দেখি স্বাধীনতা জীবের প্রিয়। পক্ষীটি আপনার মনে বৃক্ষশাখায় বসিয়া আছে, হঠাৎ তাহাকে ধর, বন্দী কর, স্বাধীনতা লাভের প্রয়াসে সে নিজের পদ-দ্বয় ভাঙ্গিয়া ফেলিবে, তথাপি সহজে বশ্যতা স্বীকার করিবে না। শিশুটি আপনার মনে খেলিতেছে, তাহার হস্ত দুখানি ধর, তাহার স্বাধীনতাতে ৰাধা দেও দেখিবে, কিয়ৎক্ষণ পরেই সে কঁাদিয়া উঠিবে। জীব স্বাধীনতা চায়। কেন তবে “প্রবৃত্তিকুলকে সংযত কর” সাধুদের মুখে এ উপদেশ শুনিতে ভাল লাগে ?-কেন এই এক বিষয়ে ও এক স্থানে আমরা