পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बशक्षा ब्रांच्या ब्रांबाबांश्न ब्रांत्र । 续 আমেরিকাতে গিয়া বাস করিবেন। কি স্বাধীনতা-প্রিয়তা ! कि মানবাত্মার মহন্তু-জ্ঞান ! এই মানবাত্মার মহন্তু-জ্ঞান আর একদিকে অসাধারণ আত্মমৰ্য্যাদা জ্ঞানের আকার ধারণ করিয়াষ্টি... তাহার চরিত্রের এমনি একটা প্রভাব ছিল, এমনি একটা মহাপুরুষোচিত গাম্ভীৰ্য্য ছিল G*, उँशटक “কোনও ছােট কাজের জন্য অনুরোধ করিতে সাহসী হওয়া দূরে থাকুক, তাহার বন্ধু বান্ধব তেঁহার সমীপে ছোট কথার অবতারণা করিতেও সাহসী হইতেন না । তঁহার বন্ধু উইলিয়াম এডাম একদিনের একটি ঘটনার বিবরণ লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন, তাহা সকলেরই পাঠ করা উচিত । ঘটনাটি এই--একদিন রামমোহন রায় জ্যৈষ্ঠ মাসের দারুণ গ্রীষ্মের” সময় অপরাহ্নে হঠাৎ এডামের ভবনে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । , এডাম দেখিলেন। তঁহার মুখে ভয়ানক উত্তেজনার চিহ্ন। দেখিয়া ঠাচার ভয় হইল। রামমোহন রায় বলিলেন,-“তুমি যদি কিছু মনে না করি, আমার গায়ের উপরকার পরিচ্ছদ খুলি।” পরিচ্ছদ উন্মোচন করিয়া বলিলেন,- “জল ! জল” ! ত্বরায় জল দেওয়া হইল। জলপান করিয়া একটু সুস্থ হইয়া বলিলেন,--“আমার জীবনের সর্ব-প্রধান আঘাতও সৰ্ব্বপ্রধান দুঃখ আজি পাইয়াছি। বিশপ মিডলটন আজ আমাকে এই বলিয়া প্রলোভন দেখাইয়াছেন যে, খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম অবলম্বন করিলে আমার পদ আরও বড় হইবে। ছি! ছি! আমাকে এত ছোট লোক মনে করে!” এডাম বলিয়াছেন,- “ইহার পরে রামমোহন রায় আর বিশপ মিডলটনের মুখদর্শন করেন নাই।” বৈষয়িক সুখের প্রলোভন দেখাইয়া ধৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত করা, ইহা তাহার চক্ষে অমাৰ্জনীয় অপরাধ, অসহনীয় অপমান বলিয়া গণ্য হইয়াছিল। কেবল ইহাও নহে মানবাত্মার মহন্তু-জ্ঞান হৃদয়ে অন্তনিহিত ছিল বলিয়া তাহার স্বাবলম্বন-শক্তি অপরিসীম ছিল। . নিজের গুঢ় আত্মা