পাতা:সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯৬
সাহিত্য

২২ এই প্রবন্ধটির সহিত সাহিত্য মাসিক পত্রে প্রকাশিত চন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের কড়াক্রান্তি’ প্রবন্ধের সম্পর্ক রচনার ভিতরেই জানা যায়। শেষােক্ত প্রবন্ধের সামাজিক দিক হইতে যে সমালােচনা লিখিত হয় তাহা সাধনার পূর্ববর্তী পৌষ সংখ্যায় কড়ায়-কড়া কাহনে-কানা’ শিরােনামে প্রথম প্রকাশ পায়, পরে ‘আচারের অত্যাচার’ নামে ‘সমাজ’ গ্রন্থে সংকলিত হয়; রবীন্দ্র-রচনাবলীর দ্বাদশ খণ্ডে উক্ত রচনা ও তৎসম্পর্কে বহু তথ্য মুদ্রিত হইয়াছে।

২৪ বঙ্গদর্শন পত্রে (১৩১৩ ফাল্গুন) লেখা হয়, ভারতীয় শিল্পপ্রদর্শনীক্ষেত্রে গত সাহিত্যসম্মিলন উপলক্ষে পঠিত।

২৫ বঙ্গদর্শন পত্রে (১৩১৩ চৈত্র) প্রবন্ধশেষে পাদটীকায় জানা যায়, ‘এই প্রবন্ধ বহরমপুরের প্রস্তাবিত প্রাদেশিক সাহিত্যসম্মিলনের জন্য লিখিত হইয়াছিল। এই সাহিত্যসম্মিলনের প্রধান উদযােগী ও পৃষ্ঠপােষক ••• মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুরের জ্যেষ্ঠ পুত্রের শােচনীয় অকালমৃত্যুতে এই সম্মিলন স্থগিত করা হইয়াছে। এই প্রবন্ধ মুদ্রিত হইবার সময়ে আমরা এই নিদারুণ সংবাদ পাই, সেজন্য প্রবন্ধ যে ভাবে রচিত হইয়াছিল ঠিক সেই ভাবেই প্রকাশিত হইল।

 এ সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য রবীন্দ্র-রচনাবলীর অষ্টম খণ্ডে গ্রন্থপরিচয়ে পাওয়া যাইবে। •

 ‘বাংলা জাতীয় সাহিত্য (প্রবন্ধসংখ্যা ৮) বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের সাংবৎসরিক সভায় পঠিত ইহা পূর্বেই উল্লেখ হইয়াছে। ১৩১৫ সালের ২১ অগ্রহায়ণ তারিখে সাহিত্যপরিষদের স্বগৃহ-প্রবেশ-উৎসবে রবীন্দ্রনাথ যে বক্তৃতা দেন তাহা নিম্নে সংকলিত হইল—

 কিছুকাল হইল শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্র মহাশয় তাহার কোনাে-একটি প্রবন্ধে পাণিনির ব্যাকরণ প্রভৃতি হইতে প্রমাণ করিয়াছেন, ভারতবর্ষে