めのや সাহিত্য-সংহিতা । [ cभ १७, १र्थ ज९था। ও সেই ভাবের প্রভাব প্ৰবিষ্ট হইয়া, তাবৎ সাহিত্যকে ‘তম্ভাবভাবিত’ করিয়া তোলে। তাই পরবর্তী কালের কৃত্তিবাসে আমরা কি বীর, কি করুণ, সকল রসেই নদিয়ার ভক্তির তরঙ্গের উচ্ছাস দেখিতে পাই। লিপিকারগণ, সুবিধা পাইলেই রামের স্থলে শুষ্ঠাম করিয়াছেন। পরিবৰ্ত্তিত কৃত্তিবাসের অনেক অনাবশ্যক স্থলে আতর্কিত বৈষ্ণবী দীনতার পরাকাষ্ঠী , দেখিতে পাই । কৃত্তিবাসের স্বকপোলকল্পিত বীরবাহু, পরবর্তী কালের বৈষ্ণব লিপিকারগণের কৃপায়, দীনাতিদীন বৈষ্ণব সেবক-গণের ন্যায়, করযুগল জুড়িয়া ধারণীতে লুটায়। তুলসীতলার মৃত্তিকায় অঙ্গরাগ করিয়া বৈষ্ণব যেমন “শ্ৰীবাসের আদীনায়” মহাপ্রভুর ভক্তগণকে প্ৰণাম করেন, সেইরূথী রাক্ষসগণও কপিগণকে গললগ্নবাসে প্ৰণাম করে। এইরূপ অনেক স্থলেই বৈষ্ণবীয় কোমলতার ও দীনতার চরম দেখিতে পাই। এ সমস্তই চৈতন্যের পূর্ণ প্রকটের পর, কৃত্তিবাসে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। এইরূপ সংক্ৰামক রোগের পরিচয় আমরা অন্যত্রও দেখিতে পাই । অনেক বৌদ্ধ গ্রন্থের দুই একটি স্থলের ঈষৎ পরিবর্তন পূর্বক, কোথাও বা প্ৰমাণ সুত্রটিকে বদলাইয়া, সমগ্ৰ গ্ৰন্থখানিকে “হিন্দু’ করিয়া তোলা হইয়াছে। কৃত্তিবাসে পাঠবৈষম্যের ইহাই একমাত্র কারণ নহে। বহুকাল পূর্বের হস্তলিখিত যে সকল পুথি পাওয়া গিয়াছে, তাহার সহিত বৰ্ত্তমান কৃত্তিবাসের ত মিল নাই-ই, এমন কি ১৮০৩ খৃঃ অব্দে শ্ৰীরামপুরের মিশনারিগণের দ্বারা প্রথম যে “কৃত্তিবাস” মুদ্রিত হয়, তাহার সহিতও বৰ্ত্তমান কৃত্তিবাসের অনেক স্থলে আদৌ মিল নাই। মিশনারিদের পুস্তকে যেখানে আছে। "পাকল চক্ষে রামেরে পানে চাহিলেক বালি। দন্ত কড়মড়ায় বীর রামেরে পাড়ে গালি ॥” সেই স্থানে-পরবর্তী কালের সংশোধিত বটতলার সংস্করণে আছে - রক্তনেত্ৰে শ্ৰী রামের পানে চাহে বালি । Z DD DLGS EB KK S পরবর্তী কালে ভাষার পরিমার্জনের नक्, गरक बांत्रिांगाव्र अकिदि কৃত্তিবাসও “পরিমার্জিত” হইয়াছেন!! কবির বাক্য পরিকৃত করিতে যাইয়া, BDBDDiS DDBDBBBD DD DBB DDBD DBB ফ্রেলিয়াছেন ! এই ব্যাপারের মূলে, আর একটি সত্যও নিহিত আছে। আমাদের দেশে, যখন
পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/২০৪
অবয়ব