9o সাহিত্য-সংহিতা । [ ৫ম খণ্ড, ৭ম সংখ্যা । মাত্র, ইজিপ্ট বা চীনদেশের মত আমাদিগেরও অতি প্ৰাচীনকালে যদি সমাধি-স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিবার প্রথা প্ৰচলিত থাকিত, কি প্ৰস্তার বা তাম্রফলকে প্ৰধান প্ৰধান ঘটনা সকল লিখিয়া রাখিবার নিয়ম থাকিত, তাহা হইলে আমরাও আমাদিগের সভ্যতার বয়স নির্ণয় করিতে সমর্থ হইতাম । বৌদ্ধ যুগের পূর্বে প্রস্তর বা তাম্রফলকে প্ৰসিদ্ধ ঘটনা সকল লিখিয়া রাখিবার প্রথা এ দেশে ছিল বলিয়া মনে হয় না। দেশ হইতে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের তিরোভাবের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রথা তিরোহিত হইয়াছে। যাহা হউক, এ প্রশ্নের মীমাংসা মাদৃশ লোকের সাধ্যাতীত ; ইহার মীমাংসা করাও এই প্ৰবন্ধের উদ্দেশ্য নহে । চীন ও ভারতীয় সভ্যতার তুলনা করিতে গেলে প্ৰধানতঃ নিম্নলিখিত কয়েকটিী বিষয়ের আলোচনা কৰ্ত্তব্য । ১ । ধৰ্ম্ম ৷ ২ ৷ সামাজিক রীতি ৷৷ ৩ ৷ সাধারণ শিক্ষা ও নীতিশিক্ষা । ৪ । শিল্প ও বাণিজ্য । ১ । ধৰ্ম্ম-ভারতবর্ষে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, মুসলমান ও খৃষ্টীয়ান ধৰ্ম্ম প্ৰচলিত । চীনে কনফুসার ধৰ্ম্ম, তাও ধৰ্ম্ম, বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম ও মুসলমান ধৰ্ম্ম প্রচলিত। চীনে খৃষ্টিয়ানের সংখ্যা এত সামান্য যে তাহা নগণ্য। কনফুসী চীনের মনু ছিলেন। তিনি বুদ্ধদেবের প্রায় সমসাময়িক লোক ছিলেন। আমাদিগের মনুসংহিতানুসারে যেমন হিন্দুদিগের অনেক ধৰ্ম্ম ও সামাজিক কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়া থাকে, সেইরূপ কনফুসার সংহিতানুসারে চীনাদের ধৰ্ম্ম, সমাজ ও রাজনৈতিক কাৰ্য্যাদি নিম্পন্ন হইয়া থাকে। আমাদিগের দেশের অধিকাংশ লোকের বিশ্বাস এই যে, চীনারা সকলেই বৌদ্ধ। কিন্তু তাহা ঠিক নহে। - চীনাদিগের ধৰ্ম্মমন্দিরে যেমন বুদ্ধমূৰ্ত্তি স্থাপিত আছে, তাদৃশ অন্যান্য বহুসংখ্যক দেব দেবীর মূৰ্ত্তিও দেখিতে পাওয়া যায়। আমাদিগের দেশে যেমন শাজের বাড়ীতে শালগ্ৰাম শিলা ও শিবলিঙ্গ পূজিত হইয়া থাকেন, সেই মত চীনারা কনফুসাের, তাও ধৰ্ম্ম ও বুদ্ধ দেবের পূজা করিয়া থাকে। মূল কথা, এই তিন ধৰ্ম্ম একত্র জড়িত। সুতরাং অধিকাংশ লোকই খাট বৌদ্ধ নহে। খাটি বৌদ্ধ হইলে জীবহিংসা বা অপর দেবদেবীর উপাসনা করিতে পারে না। হিন্দুগণও পৌত্তলিক, চীনেরাও পৌত্তলিক। চীন জাতিকে কেহ কেহ দুই LMLLLD SYYS DBBDSDDDDS STBDB luuDD Di u t BB LuuBDB
পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৩২৮
অবয়ব