80 সাহিত্য-সংহিতা । [৫ম খণ্ড, ৯-১০ সংখ্যা । আবরণে আবৃত রাখিয়াছে যে, প্ৰকৃতি হইতে তাহার যাহা প্ৰাপ্য তাহা অপেক্ষা অনেক অধিক সে দাবী করে। কিন্তু প্ৰকৃতির দানে পক্ষপাত নাই, যাহ্বার যাহা প্ৰাপ্য তাহা অপেক্ষা একটুও অধিক কেহই প্ৰকৃতির নিকট হইতে পায় না। কাজেই কৃত্ৰিম অভাব পূরণ করিবার জন্য মানুষ বুদ্ধিবলে অনেক ইত্যর প্ৰাণীর স্বাধীনতা, হরণ করে এবং ইহাতে তাহদের অবস্থা এ প্রকার হইয়া দাড়ায় যে, মানুষের সাহায্য ব্যতীত তাহদের, জীবন ধারণ অসম্ভব হইয় পড়ে। বুদ্ধিমান মানুষ প্রকৃতির বিদ্রোহী হইয়া জীবন, ধারণের উপায়গুলিকে কৃত্রিম করিয়া ফেলিয়াছে বলিয়াই তাহাদের এত অভাব এবং এত অভিযোগ । আমরা যেমন গো-মহিষাদির সাহায্যে জীবনযাত্ৰা নির্বাহ করি, উদ্ভিদ ও ইতর প্রাণীরাও জীবন ধারণের জন্য সেই প্ৰকার পরস্পরের সাহায্য গ্ৰহণ করে। কিন্তু ইহাদের মধ্যে কেহই মানুষের ন্যায় বুদ্ধিমান জীব নয়, কাজেই তাহারাই MLDBBD S DBDBDYS S BDBBY DS SgBDBD DDBDBB S OBDDDBD S SBDD পরস্পরের সাহায্য করে । সৃষ্টির ধারা অক্ষুন্ন রাখিবার জন্য প্ৰকৃতি যে কৌশলে প্ৰাণী ও উদ্ভিদদিগকে পরস্পরের সাহায্যে নিযুক্ত করেন, তাহা বড়ই আশ্চৰ্য্যজনক । পাঠক অবশ্যই জানেন, পুষ্পের পুংকেশরের পরাগ গৰ্ভকেশরে আসিয়া না পড়িলে, পুষ্প হইতে ফল হয় না । পুংকেশর ও গর্ভকেশর কতকগুলি উদ্ভিদের পুষ্পে একত্র থাকে, কিন্তু আমাদের পরিচিত অধিকাংশ উদ্ভিদেরই পুংপুষ্প ও স্ত্রীপুষ্প পৃথক হইতে দেখা যায়। লাউ ও কুমড়া প্রভৃতি উদ্ভিদ ইহার প্রকৃষ্ট উদাহরণ । এ গুলিতে কতক পুষ্পপ গর্ভকেশর লইয়া এবং কতক কেবল পুংকেশর লইয়া প্ৰস্ফুটিত হয়। কাজেই পুংপুষ্পের পরাগ স্ত্রীপুষ্পের কেশরে আসিয়া না ঠেকিলে ফল জন্মে না ; ইহাতে এই শ্রেণীর উদ্ভিদের বংশলোপের সন্তাবনা দেখা দেয় । কিন্তু কোন জীবের বংশ লোপ করা প্ৰকৃতির বিধান নয়, স্বয়ং প্ৰকৃতিই মধুমক্ষিক প্রভৃতি নানা জাতীয় পতঙ্গের সাহায্যে পুংপুষ্পের পরাগ স্ত্রীপুষ্পে যোজনা করিয়া থাকেন। পতঙ্গেরা মধুপানের জন্য যখন পুংপুষ্পের উপরে বসে, তখন এই পরাগ। কণা তাহাদের দস্তুরু পদে এবং সৰ্ব্বদেহে সংলগ্ন হইয়া যায়। পরে এই পতঙ্গগুলি যখন স্ত্রীপুষ্প হইতে মধু সংগ্রহের চেষ্টা করে, তখন সেই পরািগকণিকা গুলিই স্ত্রীপুষ্পের গর্ভকেশরে সংযুক্ত হইয়া পুষ্পের গর্ভাধান করে। নিঃসহায়
