পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ষ্ঠ রাজনারায়ণ বসু পর আঙ্করস হাটখোলার দস্তুদিগের বাটীতে হয়।...একুশ বংসর বয়সে অামার আদ্যৱস হয় । “ইংরাজী ১৮৪৭ সালের এপ্রিল মাসে আমার দ্বিতীয় বিবাহ হয় ... দ্বী অভয়চরণ দত্ত মহাশয় আমার শ্বশুর ছিলেন। ইহার পূৰ্ব্বে বড় মানুষ ছিলেন।" বান্ধ গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজের কার্য্য “কলেজ পরিত্যাগের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে অমি সংশয়বাদী হইয়াছিলাম, কিন্তু আমার স্ত্রীর ও আমার পিতার মৃত্যু আমাকে প্রকৃতিস্থ করিল। পুনরায় ধৰ্ম্মে আমার বিশ্বাস হইল ; কিন্তু এবার আমার পৈতৃক ও সে সময়ে তত্ত্ববোধিনী সভার প্রচারিত বৈদাম্ভিক ধৰ্ম্মে বিশ্বাস হইল।. “যে দিন প্রতিজ্ঞপত্র স্বাক্ষর করিয়া (ইং ১৮৪৬ সালের প্রারম্ভে ) ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করি, সে দিন আমি স্বগ্রামের দুই এক জন বয়স্ক বন্ধুদিগের সহিত তাহা করি । যে দিন আমরা ব্রাহ্মধর্শ্ব গ্রহণ করি । न नि বিস্কুট ও সেরা আনাইয়া ঐ ধৰ্ম্ম গ্রহণ করা হয় । খান খাওয়া ও মদ্য পান করা রীতির জের রামমোহন রায়ের সময় হইতে আমাদিগের সময় পর্যাম্ভ টানিয়াছিল, কিন্তু সকলেই যে ব্রাহ্মঞ্চস্থ গ্রহণের দিন ঐরুপ করিতেন এমন নহে . ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করাতে আমার কলেজের সমাধ্যায়ীরা আশ্চর্য্য হইয়াছিলেন ...কলেজের উত্তম ছোকরা যে ব্রাহ্ম হইতে পারে, ইহা উহাদের স্বপ্নের অগোচর ছিল । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াই পরম শ্রদ্ধাস্পদ দেবেন্দ্র বাবুকে এক পত্র লিখি। তাহাতে আমাদিশ্নের শাস্ত্র হইতে এমন এক গ্রন্থ সঙ্কলন করিতে তাহাকে অনুরোধ করি, যাহার প্রথম ভাগে বেদের, দ্বিতীয় ভাগে স্মৃতির ও তৃতীয়