পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতীয় গেীরৰ-সম্পাদনী সভা 84 জানিতে পারি, অনূ্যন আশী ৰংসর পূৰ্ব্বে’ একজন বঙ্গসন্তানের মনে সাজাতাবোধ কিরূপ পূর্ণাঙ্গ মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়াছিল। আমাদের জাতীয়তা সূক্ষ্ম স্বাতন্ত্র্য বোধের উপর প্রতিষ্ঠিত হইলেই তবে যে উই৷ সার্থক হইবে, ইহার মধ্যে তাহা অত্যন্ত প্রকট । ইহাতে মোটামুটি নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের প্রতি রাজনারায়ণ স্বদেশবাসীদের মনোযোগ দিতে বলিয়াছেন : স্বদেশীয় ব্যায়াম, সঙ্গীত, চিকিৎসাবিদ্যা, ইংরেজী শিক্ষারম্ভের পূৰ্ব্বে’ই বালক-বলিকাদের যথোপযুক্তরূপে মাতৃভাষা শিক্ষা দান, সংস্কৃত ও বাংলা ভাষার অনুশীলন, বাংলা শব্দ ব্যবহার দ্বারা কথোপকথনে ভাষার বিশুদ্ধত সম্পাদন, বাংলা ভাষায় পরস্পরকে পত্র লেখা, বাঙালীর সভাতে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা প্রদান, সুরাপানাদি বিদেশীয় অনিষ্টকর প্রথা এ দেশে সাহাতে প্রচলিত না হয় তাহার উপায় অবলম্বন, হিন্দুশাস্ত্র অবলম্বন করিয়া সমাজ-সংস্কারকার্য সম্পাদন, ভ্রাতৃদ্বিতীয় প্রমুখ স্বদেশীয় সুপ্রথাসকল রক্ষা, নমস্কার প্রণামাদি স্বদেশীয় শিষ্টাচার পালন, বিদেশীয় রীতিতে পরিচ্ছদ পরিধান ও আহার সম্পূর্ণ বর্জন, দেশীয় ভাষায়ু নাটকাদি অভিনয় প্রভৃতি । এই অনুষ্ঠানপত্ৰখানি প্রকাশের এক বৎসরের মধ্যেই "নেশানাল পেপার’-সম্পাদক নবগোপাল মিত্র উক্ত বিষয়সমূহ কার্যে রূপান্তরিত করিবার জন্য হিন্দু মেল (চৈত্র বা জ তীয় মেলা নামেও পরিচিত ) প্রতিষ্ঠা করেন । হিন্দু মেলার কার্য্যনিৰ্ব্বাহক সভার নাম হইল নেশন্সাল সোসাইটি বা জাতীয় সভ্য । রাজনারায়ণ লিখিয়াছেন ঃ “শ্রীযুক্ত নবগোপাল মিত্ৰ মহোদয় আমার প্রণীত “জাতীয় গৌরবেচ্ছা সঞ্চারিণী সভা’র অনুষ্ঠান পত্র পাঠ করাতে হিন্দু মেলার ভাব তাহীর মনে প্রথম উদিত হয় । ইহা তিনি আমার নিকট স্পষ্ট স্বীকার করিয়াছেন। ঐ হিন্দু মেলা সংস্থাপনের পর উহার অধ্যক্ষতা করিবার জন্য মিত্র মহাশয় জাতীয় সভা সংস্থাপন করেন ।