পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ রাজনারায়ণ বসু উছ আমার প্রস্তাবিত "জাতীয় গৌরবেচ্ছ মঞ্চ সভা’র আদর্শে গঠত হইয়াছিল।" (আত্ম-চরিত, পৃ. ২০৮ । এই অনুষ্ঠানপত্ৰখানি মংপ্রণীত “জাতীয়তার নবমন্ত্র বা হিন্দু মেলার ইতিবৃত্ত” পুস্তকে হুবহু মুদ্রিত হইয়াছে । আদি ব্রাহ্মসমাজ মেদিনীপুরে কৰ্ম্মত্যাগের কিছুকাল পরে ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর হইতে ১৮৭১ সেপ্টেম্বর পর্য্যন্ত রাজনারায়ণ বসু । কলিকাতায় অবস্থান করিয়াছিলেন । ১৮৭০-৮০, এই দশ বৎসর বাংল্লী-জীবনের এক গৌরবময় যুগ । স্বদেশের উন্নতিকল্পে বহুমুখীন কৰ্ম্মপ্রণালী বাঙালী-প্রধানগণ কর্তৃক এই সময়ে অনুসৃত হইয়াছিল। এই সব কৰ্ম্মধারার উদগতি এবং কশ্মিপ্রধানের অগ্রণীস্থানীয় ছিলেন মনস্বী রাজনারায়ণ । বসু মহাশয় আত্মজীবনীতে এ সমৃদয়ের নির্দেশ দিয়াছেন । ইহাকে ভিত্তি করিয়া সমসাময়িক পুস্তক-পুস্তিক ও পত্রিকাদির সাহায্যে উহার কার্যাবলীর পূর্ণ পরিচয় লাভ সম্ভবপর। রাজনারায়ণের কৰ্ম্মশক্তির উপর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরে পরিসীম অস্থা ছিল । তিনি রাজনারায়ণের উপর যেমনটি f ৬ল্প করিয়া চলিতে পারিতেন, এমনটি বোধ হয় আর কাহারও উপর পারিতেন না । তাই তিনি ১৮৬৪ খ্রীস্টাব্দেই রাজনারায়পকে একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন যে, “এ সময়ে যদি তোমাকে পাই তবে ইহা হইতে অধিক আহলাদ আর কিছুতেই নাই । তোমার মুখের প্রতিই আমি চাহিয়৷ আছি " রাজনারায়ণ কলিকাতায় বসবাস আরম্ভ করিয়াই মহর্ষির