পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3b রাজনারায়শ ৰন্থ আইন-প্রণয়ন সম্পর্কে কমিটির সভ্যদের মধ্যে &:স্বধ উপস্থিত হয় । হিন্দ্র সাধারণের মধ্যেও ইহা লইয়া বাদানুবাদ চলে । এ সকল কারণে এ বিষয়ের আলোচনা কিছু কাল স্থগিত থাকে । কিন্তু ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে সরকার ব্রাহ্মবিৰাহ অষ্টম বিধিবদ্ধ করিবার জন্য একটি সংশোধিত BBB BBBB BBBB S BBB BB BBBBBBB BB BB BBBS এরূপ আইন-প্রণয়নের বিরুদ্ধে দাড়াইলেন এবং সভা-সমিতি করিয়া ইষ্ঠার প্রতিবাদ করিতে আরম্ভ করিলেন । ব্রাহ্মসমাজ হিন্দুসমাজেরই অন্তভূক্ত এবং আদি ব্রাহ্মসমাজের পদ্ধতি অনুসারে অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মবিবাহ সংস্কৃত হিন্দু বিবাহ ছাড়া আর কিছুই নহে, এরূপ ঘোষণা করিয়া ‘ব্রাহ্মবিবাহ আইন' এই নামকরণে র্তাহারা বিশেষ আপত্তি তুলিলেন । সরকার এই আপত্তির সারবত্তা উপলব্ধি করিয়া ব্রাহ্মবিবাহ আইন এই নামের পরিবর্ভুে সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট নামে ১৮৭২ সালের প্রথম দিকে উক্ত বিবাহ-আইন বিধিবদ্ধ করিলেন । এই আইনটি ১৮৭২ সালের তিন আইন নামে পরিচিত । এই আইন যে দিন ব্যবস্থাপক সভায় বিধিবদ্ধ হয় । দিন আদি ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি রাজনারায়ণ বসু পরিদর্শকরূপে উপ স্থা ছিলেন । এদিনকার সভার কৌতুককর বর্ণনা তিনি আত্মচৰ্ক লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । কেশব-প্রবর্তিত বিবাহ-আইন আন্দোলনের বিরুদ্ধেও রাজনারায়ণ দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন, এবং ইহার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সভা-সমিতিতে পৌরোহিত্য করিয়া স্বাভিমত ব্যক্ত করিয়াছিলেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মূল উদেশ্ব-প্রচারে তিনি অতঃপর সবিশেষ অবহিত হইলেন। ১৮৭১ খ্রীষ্টকে প্রদত্ত র্তাহার হিন্দুধৰ্ম্ম শ্রেষ্ঠত বিষয়ক বক্তৃতা এবং পূৰ্ব্ববর্তী ও এই সময়কার আদি ব্রাহ্মসমাজের ধৰ্ম্মনীতি ও কৰ্ম্মপ্রণালীবিষয়ক বক্তৃতাসমূহ ইহা প্রকৃষ্টরূপেই সপ্রমাণ করে। ১৭৯৩ শকের মাঘ সাসে রাজনারাক্ষণের সভাপতিত্বে ব্রাহ্মবোধিনী