পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$0. রাঙ্গনারায়ণ বসু ভিন্ন আয় গত্যন্তর দেখিতেছি না । তাহার ঘরাও ভাবের অগণন ও৭-প্রবীণ বাল্যতা সরসতা মাধুর্য শীলসৌজন্য প্রভৃতি অশেষ গুণ বর্ণনা করিতে যাওয়া লেখনীর কেবল পণ্ডশ্রমই সার। তাহাতে আমরা ক্ষান্ত হইয়া-তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অন্য যাহা করিয়াছেন এবং তিনি ভিন্ন আর কেহই যাহা করিতে পারিত না, তাহাই এক্ষণে পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিয়া কথঞ্চিং প্রকারে মনের ভাব সাঘব করি । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রচারে করুণাময় পরমেশ্বরের হস্ত জাজ্জ্বল্যমান দেখিতে পাওয়া যায়। স্বগীয় কেশবচন্দ্র ব্রহ্মাননের কার্য্য পর্যালোচনা করিলে সহসা আমাদের এইরূপ মনে হয় যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম দিব্য ধীরে ধীরে জ্যোতি বিকীর্ণ করিতেছিল কেশবচন্দ্র তাহার মধ্যে অনর্থক একটা তুমুল গোলমাল এবং বিবাদ বিসম্বাদ প্রবেশ করাইলেন । কিন্তু বিবেচনা করিয়৷ দেখিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ঐরূপ গোলমাল বিবাদ বিসম্বাদ বৰ্ত্তমান কালের একটি অপরিহার্য্য অঙ্গ আমাদের এই ভারতবর্ষের উপরে ইংলণ্ডের প্রতাপ কাৰ্য্য করিতেছে ;-নিঃশব্দে কার্য্য করিতেছে । বাহিরে কোন গোলমাল নাই—ভিতরে তেমনি তুমুল গোলমাল চলিতেছে। এই গোলমালের মধ্যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের গোলমাল উত্থাপন করা আবশ্বকে—য়ে , বিদেশে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ধ্বনি নিনাদিত করা আবশ্বক ! ব্রহ্মানন্দ যথোপযুক্ত সময়ে পৃথিবীতে প্ররিত হইয়। স্বীয় অসামান্য প্রতিভাবলে সেই কার্যটি সুসম্পন্ন করিয়াছেম । তিনি ভিন্ন আর কেহই তাহা সেরূপ দক্ষতার সহিত সমাধা করিতে পরিবেন না । ব্ৰহ্মানন্দের ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার বর্তমান কালের ঠিক উপযোগী। ব্রহ্মানন্দ যেমন কালোচিত তীব্রভাবে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছেন—নবপ্রয়াত মহাত্মা তেমনি দেশোচিত মধুর ভাবে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছেন। ব্রহ্মানন্দের