পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মমোমোহন বসু কোম্পানীর ডাকের ঠিকাদার ছিলেন । প্লী হইতেই ডাকের ঠিকাগ্রহণ প্রথার প্রথম সূত্রপাত হয় । তিনি আর কিছুকাল জীবিত থাকিলে এদেশের সমস্ত রাজবস্তু ই তাহার ঠিক-ভূক্ত হওনের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু আমাদের দুরদুষ্টবশত: কাল তাহা শুনিল মা-অকালেই পিতাকে হরণ কয়িয়া লইল । সে শোচনীয় ঘটনা নিশ্চিন্তুপুরে নয়, আমাদের নিজ বাটীতেই ঘটে তিন বৎসর বয়সের সময় পিতার পরলোক হয় . ম! ৪ পিসীমা বলিতেম, আমি ৫/৬ মাসে বসিতে, ৭ মাসেই হামাগুড়ি দিতে, ১০/১১ মাসেই দাড়াইতে এবং এক বৎসরের পরেই চলিতে পারিয়াছিলাম .তৎকালে সমস্ত বঙ্গদেশমধ্যে বিদ্যাশিক্ষা সম্বন্ধে এই প্রথা ছিল, যে, পুত্র সস্তান পঞ্চমবধীয় হইলে ভাল একটা দিন দেখিয়ু হাতে খড়ি দেওয়া হইত।. যংকালে আমার হাতে খড়ি হইবার বয়স, আমি তাহার বহু পূৰ্ব্ব হইতেই বর্ণমালা প্রভৃতি লেখা পড়া ছাড়াই , উঠিয়াছিলাম . শুদ্ধ ইহা নহে, আমি তথম দাতাকৰ্ণ, গুরুদক্ষি , প্রলোদ চরিত্র পুথি অবলীলাক্রমে পড়িতাম। আমাদের মি টাতেই পাঠশাল ছিল , তাহাতেই লিখিতাম পড়িতাম । ছয় বংসর বয়সের সময় আমি এবং আমার মধ্যমাগ্রঞ্জ জননীর সহিত নিশ্চিন্তপুরে গেলাম ...কৃষ্ণনগর জিলার অন্তগত নিশি পুং, ; ক্ষুদ্র, কিন্তু ভদ্র গ্রামে আমার মাতামহ বাস করিতেন। আমাদিগের নিজ গ্রাম হইতে নিশ্চিন্তপুর ষোল ক্রোশ উত্তর দিগে স্থিত। সে বার ঘটনাস্থত্রে চারি বৎসরের অধিক কালও মামার বাড়ী থাকি ... হরিশ গুরু মহাশয় গেলেন, আমার চিন্তু অত্যন্ত উদাস