পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>总 - মনোমোহন বসু দ্বিতীয় বর্ষের ২৭শ সংখ্যা ( ৯ কাৰ্ত্তিক ১২৮০ ) পর্য্যন্ত সাপ্তাহিক আকারে চলিবার পর মধ্যস্থ অগ্রহায়ণ মাস হইতে মাসিক-পত্রে পরিণত হয় । সম্পাদকের স্বাস্থ্যভঙ্গই পত্রিকার এই রূপাস্তরের কারণ । মালিক আকারে মধ্যস্থ' প্রায় দুই বৎসর চলিয়াছিল। বার বার অস্থস্থ হইয় মনোমোহন শেষে পত্রিক রহিত করিতে বাধ্য হন । ইহার শেষ সংখ্যার প্রকাশকাল—আশ্বিন ১২৮২। 'মধ্যস্থ একথামি উচ্চাঙ্গের পত্রিক ছল । ইহার গ্রাহকসংখ্যা নগণ্য ছিল না । ইহাতে কবিতা, উপন্যাস, বিবিধ-বিষয়ক প্রবন্ধ, গ্রন্থ-সমালোচনা, দেশ-বিদেশের সংবাদ, এমন কি, রাজনীতির আলোচনাও স্থান পাইত । • চৈত্রমেলা বা হিন্দুমেলা . বিভিন্ন শ্রেণীর হিন্দুর মধ্যে যাহাতে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়—পরায়চিকীৰ্ষার পরিবর্তে যাহাতে আত্মনির্ভরতা বা স্বাবলম্বনবৃত্তির উন্মেষ হয়, তদুদেশে চৈত্র বা হিন্দুমেল জন্মলাভ করে । ইহা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় কংগ্রেসের অগ্রদূত। ১২৭৩ সালে চৈত্র-সংক্রাস্তির দিন (প্রিল ১৮৬৭ ) কলিকাতার উপকণ্ঠে বেলগাছিয়া ভিলাতে এই মেলার প্রথম অধিবেশন হয়। তদবধি প্রতি বৎসর—প্রধানত: কলিকতার নিকটবৰ্ত্তী কোন উষ্ঠানে---এই মেলা অনুষ্ঠিত হইতে থাকে। মেলার মূল উদেশ্ব সাধনের জন্য স্বদেশীয় সাহিত্য, বিজ্ঞান, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যাদি বিষয়ের আলোচনায় মেলার কর্তৃপক্ষ অগ্রণী হন । মনোমোহন এই জাতীয়-মেলার একজন বিশিষ্ট কৰ্ম্মী ছিলেন।