পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্রমেল বা হিন্দুমেলা \డి তিনি ইহার বাধিক অধিবেশনগুলিতে যে-সকল জাতীয়-ভাবোক্ষীপক বক্তৃতা দিতেন, তাহাতে বাঙ্গালীর প্রাণে নব বলের সঞ্চার হইত । এগুলি বাংলা-সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হইয়া রহিয়াছে। হিন্দুমেলার অস্তভূক্ত জাতীয় সভা—ন্যাশনাল সোসাইটির সহিতও মনোমোহন ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। এখানেও সমাজের নাম জটিল সমস্ত সম্পর্কে তিনি বক্তৃতা দিতেন এবং ইহার বিভিন্ন জান্দোলন ও জনহিতকর কার্যো যথাসাধ্য সহায়তা করিতেন । তাহীর মধ্যস্থ' বাংলা ভাষায় হিন্দুমেল ও জাতীয় সভার মুখপত্র হইয়া দাড়াইয়াছিল বলা চলে। জাতীয়-মেলার দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রদত্ত বক্তৃতার প্রথমেই তিনি বলেন :– “স্থির চিত্ত্বে বিবেচনা করিলে বোধ হয়, আজ আমরা একটি অভিনব আনন্দ-বাজারে উপস্থিত হইয়াছি । সারল্য জার নিৰ্ম্মৎসরুতা আমাদের মূলধন, তদ্বিনিময়ে ঐক্যনাম মহাবীজ ক্রম্ব করিতে আসিয়াছি । সেই বীজ স্বদেশ-ক্ষেত্রে রোপিত হইয়া সমুচিত যত্ন-বারি এবং উপযুক্ত উৎসাহ-তাপ প্রাপ্ত হইলেই একটি মনোহর বৃক্ষ উৎপাদন করিবেক এত মনোহর হুইবে যে, যখন জাতি-গৌরবরূপ তাহার নব পত্রাবলীর মধ্যে অতি শুভ সৌভাগ্য-পুষ্প বিকশিত হইবে, তখন তাহার শোভা ও সৌরভে ভারতভূমি আমোদিত হইতে থাকিবে । তাহার ফলের নাম করিতে এক্ষণে সাহস হয় না, অপর দেশের লোকের তাহাকে “স্বাধীনতা !" নাম দিয় তাহার অমৃতাশ্বাদ ভোগ কয়িয়া থাকে। আমরা সে ফল কখনো দেখি নাই, কেবল জনশ্রুতিতে তাহার অনুপম গুণগ্রামের কথা মাত্র শ্রবণ করিয়াছি। কিন্তু আমাদ্বিগের অবিচলিত অধ্যবসায় থাকিলে সে ফল না পাই, জন্তুত: