পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোমোহন বস্থ লোকের অনভিজ্ঞতা ও গুণ গ্রহণের অক্ষমতাপ্রযুক্ত ? কাচ নছে। স্বভাবের বৈপরীত্যে মহগুলোকে ষে যাহা করিবে, তাহঃ লভ্য, অসভ্য, শিক্ষিত, অশিক্ষিত মহন্ত মাত্রেরই ভাল লাগিবে ন ; তবে যে যাত্রাওয়ালার স্বসিদ্ধ হয়, তাহার কারণ কেবল তাহদের গান ভিন্ন আর কিছুই না! যাত্রার দোষের মধ্যে স্থান, কাল ও চরিত্র সম্বন্ধে স্বভাবের প্রতি দৃষ্টি না রাখা ; ও পক্ষে আবার বর্তমান অনেক নাট্যাভিনয়ের মধ্যেও গানের অসঙ্গতি বা অপকর্ষতাই একটি মহদোষ । আমার ক্ষু বিবেচনায় এই ৰোধ হয়, যে, অভিনেতৃগণ অধুনা যেরূপে : পান, তৎসঙ্গে গানের পারিপাট্য সাধনার্থ যদি তদ্রুপ মনোযোগী হইতে পারেন, তবে নিশ্চয়ই র্তাহীদের অভিনয় দর্শন সময়ে শ্রোত ও দর্শকমণ্ডলী এককালে মোহে অভিভূত হইয় গলিয়া যাইবেন । আমি এমন বলিতেছি না, যে, যাত্রাওয়ালার যেমন কথায় কথায়, অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বক্তৃতার পর কেবলই গানের আধিক্য করিয়া থাকে, নাটকেও তদ্রুপ হউক। আমার অভিপ্রায় এই, ম্বে, স্বভালোক্তির পর যেখানে যেখানে গান থাটিতে পারে, তাহা উক্ত স্বাভাবিক নিয়মে সংখ্যায় যতই কেন হউক না, ফলত যে কয়ুটী গান হইবে, সে কয়ট যেন উত্তমরূপে গাওয়া হয় । ফল কথা, আমরা মধ্যস্থ মানুষ ; আমরা চাই, দেশে পূৰ্ব্বে স্বাহ ছিল, তাহীর ধ্বংস ন করিয়া তাহাকে সংশোধিত করিয় লও। আমির চাই, সেই যাত্রার গান সংখ্যায় কমাইয়া ও গাইবার প্রণালীকে শোধিত করিয়া নাটকের স্বভাবাকুযায়ী কথোপকথনাদি বিবৃত হউক। এরূপে কোনে কোনো অভিনেতৃসম্প্রদায় ষে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন, তাহাও দেখা গিয়াছে। ভরসা করি, জাতীয় নাট্যসমাজ সৰ্ব্বাগ্রে এ বিষয়ের বিচারে প্রবৃত্ত হইয়া ষে মীমাংসায় উপনীত হইবেন, সেই মীমাংসাকুসারে অনুষ্ঠান করিয়৷ এ বিষয়ের অঙ্গরাগ বাড়াইয়। তুলেন। আমার বক্তব্য দ্বিতীয় বিষয় এই যে, উক্ত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন এক শ্রেণীও আছেন, যাহারা ভাবিয়া থাকেন, রঙ্গ