পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু ই# শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হন। তজ্জন্ম তাহাকে বাধ্য হইয়া উক্ত পত্রের সম্পাদন কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিতে হইয়াছিল। মনোমোহন বাবু গান রচনায় বিশেষ কৃতিত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাহার সুললিত গান শুনিয়া অনেকে প্রত ও পুলকিত হইতেন । মনোমোহন বাবু যে সময়ে পরিণত-বয়স্ক, সেই সময়ে কলিকাতার হাফ-আখড়াই নামক সঙ্গীতসমর খুব প্রচলিত ছিল । তিনি এই সকল সঙ্গীত-যুদ্ধে উপস্থিত জবাব দিয়া প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করিতেন । এই সকল গীতি-যুদ্ধে তিনি এরূপ গীতরচনা-কৌশল এবং ভাব-সমাবেশ-নৈপুণ্য প্রকাশ করিতেন যে, গুণগ্রাহী পণ্ডিতমণ্ডলী মুগ্ধ হইয়া মুক্তকণ্ঠে তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিতেন । শুনিতে পাই, একবার কাশীধামে হাফ আখড়াইয়ের আসরে গুরু-শিন্থে দ্বন্দ্ব হইয়াছিল । মনোমোহন নিজ গুরু ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সহিত গীতিরণে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । কাশীর হাফ আখড়াইয়ে 'শিয়ুবিদ্যাই গরীয়সী হইয়াছিল । কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, মনোমোহনের গুণপণায় এরূপ প্রীতি ও মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, সেই সঙ্গীতক্ষেত্রে স্বয়ং হারি মানিয়া শিষ্যের গৌরব ঘোষণা করিয়াছিলেন। মনোমোহন বাবু গুণবান ব্যক্তি হইলেও নিরহস্কার ছিলেন । তাহার বিনয়, সরলতা ও প্রকৃতির মধুরতা প্তাহাকে সর্বশ্রেণীর লোকের নিকট আদরণীয় করিয়াছিল । কেহ তঁাহীকে দিয়া গান রচনা করাইয়ু লইতে চাহিলে তিনি আহাঁর নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া তৎক্ষণাৎ তাহার অঙ্গুরোধ রক্ষা করিতেন । মনোমোহনের স্বদেশানুরাগ বড় প্রবল ছিল । তিনি চিরদিন স্বদেশের ও স্বজাতির দুঃখে অশ্রুপাত করিয়া গিয়াছেন । স্বদেশের ও স্বজাতির কল্যাণ সাধন উtহার জীবনের একটি মহুর্তী সাধনীস্বরূপ হইয়াছিল। “দিনের দিন সবে দীন ভারত হয়ে পরাধীন”, “উন্নতি উন্নতি, উল্লাস তারতী, কেন দিবা রাতি