পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোমোহন বন্ধ ও বাংলা সাহিত্য “ ছড়া “চাতকী পাতকী” আর “বিশ্বাস-ঘাতকী” ! ও মা ! ওমা! সে আবার কি ?—ছি ছি অমন কথা বলিস্নে সখি ! প্রাণের জালা এতই বা কি ?—হলো জাল, তাতেই বা কি ? ওলে সখি, তোর বা কি ?—আমার যা, তাবু নয় ভে মিকি । ভেবে একবার দেখ দেখি—আমার ঘরে কাগুট। কি ?— বা’র ভড়ঙে থাকি, কিন্তু আসলে ফাকি । বারমেসে দুঃখ তোমার, শুনালে যতেক ; আমার বারমেসে তেমনি, শোন সে তবে প্রাণ, সঞ্জনি— পরের শুনলে আপনার জাল জুড়াবে অনেক ! তোমার আছেন আদর্শন ; আমি পাই দরশন ; এইটি তফাত বটে, কিন্তু বেশী পোড়ানি তায়— হরির চক্র সুদর্শন, ছুতে মাছি কাটে যেমন, বিপদ বড় তার দর্শন, প্রাণ-বামুট আকর্ষণ, হয় কথায় কথায় ! সে দর্শনের মুখে ছাই!—ম্পর্শনের তো কথাই নাই— সে পক্ষে প্রায় বালাই চুকে গেছে! বাড়ার ভাগ কদাচারে, বার মাসই নয়ন ঝুরে, সেই বারমেসে দুঃখ কিছু কই তোমার কাছে – বৈশাথে বসন্ত পেয়ে সবার সুথের তত্ত্ব ; ফুটে কলি, জুটে অলি, মধুপানে মত্ত ! আমার বধু, পিপের মধু, পীয়ে আসেন মেতে ! ( দেখে ) লোকে হাসে, আমি কিন্তু কঁাদি দিনে রেতে ! ১ । জ্যৈষ্ঠ মাসে অব কঁঠাল সকল ঘরে ঘরে ; থায় ফেলে বিলোয় লোকে তত্ত্ব তাবাস করে ।