পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুরের খঞ্জরপুর মহল্লায় যখন শরৎচন্দ্রের পিতা তাহার তিন পুত্র এবং এক কন্যা লইয়া বাস করিতেন তখন আমরা ছিলাম তাহাদের প্রতিবেশী। অামার অগ্রজ u/ব্রাজেন্দ্রন মুখোপ"ধ্যায় ছিলেন শরৎচন্দ্রের সহপাঠী এবং অন্তরঙ্গ বন্ধু ; তুমি বলিতেছি ১৮৯৭ সালের কথা। শরৎচন্দ্র তখন সম্পূ সাংসারিক ব্যাপার হইতে সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত। ' উকীল রাজা শিবচন্দ্র বক্ষেপাধ্যায় মহাশয়ের ২ তই শরৎচন্দ্র অধিকাংশ সময় কাটাহঁতেন, যেহেতু রাজা শিবচন্দ্রের পুত্র কুমার সতীশচন্দ্র ছিলেন র্তাহার বন্ধু । সতীশচন্দ্র সঙ্গীত, বিলিয়ার্ড এবং ক্রিকেট খেলাতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন এবং তিনি “আদমপুর ক্লাব” নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন । এই আদমপুর ক্লাবের একটী ড্রামাটিক সেকৃশন ছিল এবং সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর ভাবে বাংলা নাটক অভিনয় করা ছিল এই ক্লাবের বৈশিষ্ট্য । মৃণালিনী’, বিল্লমঙ্গল’, ‘জমা’ নাটকের অভিনয়ে শরৎচন্দ্র যথাক্রমে মৃণালিনী, চিন্তামণি ও জনার ভূমিকা অভিনয় করিয়া আদমপুর ক্লাবের অভিনয়-সুখ্যাতি বৰ্দ্ধিত করেন। শরৎচন্দ্রের স্বষ্ট চরিত্র ইন্দ্রনাথের অরিজিন্তাল বলিয়া যে রাজুর [ রাজেন্দ্রনাথ মজুমদারের ) উল্লেখ করা তিনি উপরোক্ত মৃণালিনী ও বিল্বমঙ্গল অভিনয়ে গিরিজায় ; গিলিনীর অংশ অভিনয় করেন। ভাগলপুরের প্রসিদ্ধ উকীল প্ৰচন্দ্রশেখর সরকার মহাশয়ের বাটতে বিল্বমঙ্গল অভিনয় হইবার রাত্রি হইতে রাজু নিরুদ্ধেশ এবং এই পৰ্য্যন্ত তাহার সন্ধান পাওয়া যায় নাই । —“শরৎচন্দ্রের বাল্য-কাহিনী” : ঐযতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ।