পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্নসংস্থানে অর্থোপার্জনে শরৎচন্দ্রকে মন দিতে হইল। খঞ্জরপুরে থাকিয়া তিনি কিছু দিন বনেলী এষ্টেটে একটি সামান্ত চাকুরীতে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু অস্থিরমতি শরৎচন্দ্রের সংসারে মন বসিল না, তিনি একদিন নিরুদ্দেশ হইলেন (ইং ১৯০০ ) । শরৎচন্দ্র সন্ন্যাসিবেশে এখানে-সেখানে কিছু দিন ঘূরিবার পর মজঃফরপুরে আসিয়া উপস্থিত হন। এখানে স্তাহার সহিত প্রমথনাথ ভট্টাচাৰ্য্য ও শ্ৰীমতী অহরূপ দেবীর স্বামী ঐশখরনাথ বন্ধ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। মজঃফরপুরের অনেকেই ডাহার সঙ্গীতের অহরাগী ছিলেন। গায়ক ও বাদক হিসাবে তিনি স্থানীয় জমিদার মহাদেব সাহুর (ইনিই শ্ৰীকান্তে'র কুমার সাহেব) সুনজরে পড়েন। আমন্ত্রিত হইয়। শরৎচন্দ্র কিছু দিন এই জমিদারের নিকট অবস্থান করিয়াছিলেন। ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যভাগে হঠাৎ পিতার মৃত্যু-সংবাদ পাইয়া তিনি মজঃফরপুর ত্যাগ করিয়া ভাগলপুরে ফিরিয়া আসেন। অতি কষ্টে পিতার শ্রদ্ধাদি সম্পন্ন করিয়া তিনি চাকরির সন্ধানে সম্পৰ্কীয় মাতুল উপেন্দ্রনাথের অগ্রজ লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়েত্ব কলিকাতা, ভবানীপুরের বাসায় আসিয়া উপস্থিত হন । তথা হইতে একদিন বাড়ীর কর্তাদের কিছু না-জানাইয়া তিনি ভাণ্যান্বেষণে ব্রহ্মদেশে যাত্র করেন ( ইং ১৯০৩ ) | শরৎচন্দ্র ব্রহ্মদেশে দীর্ঘ বার-তের বৎসর কাটাইয়াছিলেন । ১১১২ ও ১৯১৪ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষ ভাগে তিনি কলিকাতায় আসিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহ অল্প দিনের জন্ত । তিনি রেজুনে একাউনটেন্ট-জেনারেলের আপিলে কাৰ্য্য করিতেন। প্রবাসের দিনগুলি তিনি গভীর অধ্যয়নেই কাটাইয়াছিলেন ।