পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মকথা う5 কবিতা-এক কথায় সাহিতের সকল বিভাগেই তিনি হাত দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনটাই তিনি শেষ করতে পারেন নি। তার লেখাগুলি আজ আমার কাছে মেই--কবে কেমন করে হারিয়ে গেছে সে কথা আজ মনে পড়ে না । কিন্তু এখনও স্পষ্ট মনে আছে, ছোটবেলায় কত বার তার অসমাপ্ত লেখাগুলি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছি । কেন তিনি এগুলি শেষ করে যান নি এই বলে কত দুঃখই না করেছি। অসমাপ্ত অংশগুলি কি হতে পারে ভাবতে ভাবতে আমার অনেক বিনিদ্র রজনী কেটে গেছে। এই কারণেই বোধ হয় সতের বৎসর বয়সের সময় আমি গল্প লিখতে সুরু করি । কিন্তু কিছুদিন বাদে গল্প রচনা অ-কেজোর কাজ মনে করে আমি অভ্যাস ছেড়ে দিলাম । তার পর অনেক বৎসর চলে গেল ! আমি যে কোন কালে একটি লাইনও লিখেছি সে কথাও ভুলে গেলাম । আঠার বৎসর পরে একদিন লিখতে হাৰ্ব্বস্তু করলাম । কারণটা দৈব দুর্ঘটনারই মত। অামার গুটিকয়েক পুরাতন বন্ধু একটি ছোট মাসিক পত্র বের করতে উদ্যোগী হলেন । কিন্তু প্রতিষ্ঠাবান লেখকদের কেউই এই সামান্ত পত্রিকায় লেখা দিতে রাজী হলেন না । মিরুপায় হয়ে তাদের কেউ কেউ আমাকে স্মরণ করলেন । বিস্তর চেষ্টায় তারা আমার কাছ থেকে লেখা পাঠাবার কথা আদায় করে নিলেন । এটা ১৯১৩ সনের কথা । আমি নিমরাজী হয়েছিলাম। কোন রকমে উাদের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্তেই আমি লেখা দিতেও স্বীকার হয়েছিলাম । উদেশ্ব কোন রকমে একবার রেঙ্গুন পৌছতে পারলেই হয় । কিন্তু চিঠির পর চিঠি আর টেলিগ্রামের তাড়া আমাকে অবশেষে সত্য