পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্যের একটা কথা বলা বোধ করি নিতান্তই অনধিকার চর্চা বলে গণ্য হবে না। ধারা আমার নমস্ত আমার গুরুপদবাচ্য তাদের লেখা থেকে এক আধটা উদাহরণ দিলে যদি বা একটু বিরুদ্ধ মত থাকে, আশা করি আপনাদের কেহই তাকে অ্যান বা শ্রদ্ধা বলে ভুল করবেন না। আমার সাহিত্যিক জীবনের পরিণতির প্রসঙ্গে এর প্রয়োজনও আছে। গোট দুই শব্দ আজ F# EfY C# TrI, Idealistic and Realistic affi of এই শেষ সম্প্রদায়ের লেখক । এই দুর্নামই আমার সবচেয়ে বেশী। অথচ, কি ক’রে যে এই দু’টোকে ভাগ ক’রে লেখা যায়, আমার অজ্ঞাত | Art জিনিসটা মামুষের স্মৃষ্টি, সে nature নয়। সংসারে যা কিছু ঘটে—এবং অনেক নোঙর জিনিসই ঘটে—ত কিছুতেই সাহিত্যের উপাদ্ধান ময় । প্রকৃতি বা স্বভাবের হুবহু নকল করা photography হতে পারে, কিন্তু সে কি ছবি হবে ? দৈনিক খুরের কাগজে অনেক কিছু রোমহর্ষণ ভয়ানক ঘটনা ছাপা থাকে, সে কি সাহিত্য ! চরিত্র-সৃষ্টি কি এতই সহজ ?...আমি ত জানি কি ক’রে আমার চরিত্রগুলি গ'ড়ে ওঠে । বাস্তব অভিজ্ঞতাকে আমি উপেক্ষা করচি নে, কিন্তু বাস্তব ও অবাস্তবের সংমিশ্রণে কত ব্যথা, কত সহানুভূতি, কতখানি বুকের রক্ত দিয়ে এরা ধীরে ধীরে বড় ছয়ে ফোটে, সে আর কেউ না জানে তা আমি ত জানি । সুনীতি সুনীতির স্থান এর মধ্যে আছে, কিন্তু বিবাদ করবার জায়গা এতে নেই,—এ বস্তু এদের অনেক উচ্চে । এদের গণ্ডগোল করতে দিলে এমন গোলযোগ বাধবে যে, কাল তাকে ক্ষম করবে না । নীতি-পুস্তক হবে, কিন্তু সাহিত্য হবে না। পুণ্যের জয় এবং পাপের ক্ষয়, তাও হবে, কিন্তু কাব্যস্মৃষ্টি হবে না।