পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-সৃষ্টি সম্বন্ধে শরৎচন্দ্রের বক্তব্য st আমার মনে আছে, ছেলেবেলায় ‘কৃষ্ণকান্তের উইলে’ৰ রোহিণীর চরিত্র আমাকে অত্যন্ত ধাক্কা দিয়েছিল। সে পাপের পথে নেমে গেল। তার পরে পিস্তলের গুলিতে মারা গেল । গরুর গাড়ীতে বোঝাই হয়ে লাস চালান গেল। অর্থাৎ হিন্দুত্বের দিক দিয়ে পাপের পরিণামের বাকী কিছু আর রইল না, ভালই হ’ল । হিন্দু সমাজও পাপীর শাস্তিতে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে বঁচিলে। কিন্তু আর একটা দিক্‌ ? যেটা এদের চেয়ে পুরাতন, এদের চেয়ে সনাতন,—মং-মারীর হৃদয়ের গভীরতম, মুঢ়তম প্রেম ?—আমার আজও যেন মনে হয়, ছু:খে সমবেদনায় বঙ্কিমচন্দ্রের দুই চোকু অশ্রুপরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, মনে হয়, তার কবিচিত্ত যেন তারই সামাজিক ও নৈতিক বুদ্ধির পদতলে আত্মহত্যা ক’রে মরেছে । ...ঐযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সিংহ মহাশয় আমার ‘পল্লী-সমাজের বিধবা রমাকে তার ‘সাহিত্যের স্বাস্থ্যরক্ষা পুস্তকে বিদ্রুপ ক’রে বলেছেন, “তুমি ঠাকুরাণী বুদ্ধিমতী না ? বুদ্ধিবলে তোমার পিতার জমিদারী শাসন করিতে পারিলে, আর তুমিই কি না তোমার বাল্যসখা পরপুরুষ রমেশকে ভালবাসিয়া ফেলিলে ? এই তোমার বুদ্ধি ? ছিঃ ” এ ধিক্কার artএই নয়, এ ধিক্কার সমাজের, এ ধিক্কার নীতির অনুশাসন । এদের মানদণ্ড এক নয়, বর্ণে বর্ণে ছত্ৰে ছত্রে এক করার প্রয়াসের মধ্যেই যত গলদ, যত বিরোধের উৎপত্তি { . ভাল মদ সংসারে চিরদিনই আছে-ভালকে ভাল, মদকে মন্দ বলার কোন artই কোন দিন আপত্তি করে না । কিন্তু