পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* শরৎচন্দ্রের পত্রষিলী ሼo বেশি দিন রাগ করে থাকা সম্ভব নয়, তাই এখন আর রাগ নেই, কিন্তু কিছু দিন পূৰ্ব্বে সত্যই অনেকটা রাগ ও দুঃখ হয়েছিল। আমি কেবলি আশ্চৰ্য্য হয়ে ভাবতাম এর করে কি ! একখানা চিঠিও যখন দেয় না, তখন নিশ্চয়ই এদের মতিগতি বদলে গেছে। তোমাকে একটা কথা বলে রাখি উপীন, আমার এই একটা ভারী বন্ধ স্বভাব আছে যে একটুতেই মনে করি লোকে যা করে তা ইচ্ছে করেই করে। ইচ্ছা না করেও যে কেউ কেউ অভ্যাসের দোষে আর একরকম করে, অামার নিজের সম্বন্ধে সে কথা মনে থাকে নী | Sensitive বলে একটা কথা আছে আমার সেট। অপৰ্য্যাপ্ত রকম বেশি। সুরেনকে আজ হস্তু দুই একথান চিঠি দিয়েছিলাম আজ পর্য্যন্ত তার জবাব পেলাম না । এর কেনই বা লেখে কেনই বা লেখা বন্ধ করে! তুমি কাশীনাথ সমাজপতিকে দিয়ে ভাল করনি। ওটা বোঝার জুড়ি, ছেলে বেলার হাত পাকানর গল্প। ছাপান ত দূরের কথা, লোককে দেখানও উচিত নয় । আমার সম্পূর্ণ অনিচ্ছা যেন না ছাপা হয়। আর আমার নামটা মাটি কোরে না, এক ‘বোঝাই যথেষ্ট হয়েছে। আমি যমুনার প্রতি স্নেহহীন নষ্ট । সাধ্যমত সাহায্য করব, তবে ছোটো গল্প লিখতে আর ইচ্ছে হয় না-ওটা তোমরা পাঁচ জনেই কর। প্রবন্ধ লিখব এবং পাঠাবও । চরিত্রহীন কবে সম্পূর্ণ হবে বলতে পারি না । প্রায় অৰ্দ্ধেকট হয়েছে মাত্র হলেও যে সমাজপতির কাছেই পাঠিয়ে দেব তাও বলা ঠিক হয় না। এক তুমি যদি কলিকাতায় থাকিতে, তোমার কাছে পাঠাতাম । ইতিমধ্যে তুমি সমাজপতিকে লিখে দিয়ে “কাশীনাথ যেন প্রকাশ না করে। যদি করে ত আমি লজ্জায় বঁচিব না। তুমি দু'একটা