শরৎচন্দ্রের পত্রাবলী چه ফাউনটেন পেন তোমার হাতে অক্ষয় হোকৃ—ও কলমটা অনেক জিনিসই লিখেচে-থাটিয়ে নিলে আরও লিখবে। আজ এই পর্য্যস্ত। যদি ‘চন্দ্রনাথ’ পাঠান সম্ভব হয় এবং সুরেনের যদি অমত না থাকে, তা হলে যা সাধ্য সংশোধন করে ফণিকে পাঠাব। চিঠির জবাব দিয়ে। —শরৎ 14, Lower Pozoungdoung Street Rangoon, 26.4. 13. ঐচরণেষু—তোমার চিঠি পাইয়৷ যতটা আশ্চৰ্য্য হইয়াছি তাহার শতগুণ ব্যথিত হইয়াছি। তুমি আমাকে দ্বেষ করিবে, এই কথাটা যদি আমি নিজেও বলি, তাহ। তইলেক্ট কি তুমি বিশ্বাস করিবে ? আমার কলিকাতার স্মৃতি এখনও মনের মধ্যে জাজ্বল্যমান আছে—আমি অনেক কথাই ভুলি বটে, কিন্তু এ সব কথা এত শীঘ্র ত নয়ই, বোধ করি কোন দিনই ভুলি না। যাই হৌক, এ লইয়া আমি জবাবদিহি করিব না । আমি বেশ জানি একবার যদি তুমি নিভৃতে আমার মুখ এবং আমার কথা মনে করিয়া দেখ, তখনই বুঝিতে পারিবে—আমাকে তুমি বিদ্বেষ করিবে এ কথা আমার মুখ দিয়া বাছির হইবে না। এ কথা আমি ত উপীন, কল্পনা করিতেও পারি না। তবে, এই বলি তোমার যা ইচ্ছা আমার সম্বন্ধে মনে করিতে পার, আমি তোমাকে আমার তেমনি মঙ্গলাকাজী মুহুং আল্পায় এবং সম্পর্কে মান্ত ব্যক্তি বলিয়া মনে করিব এবং ইহা চিরদিনই করিয়াছি । তোমাদের আপোষের মধ্যে কলহ বিবাদ হইতে পারে, তাই বলিয়া আমি কি তার মধ্যে যাইব ? তুমি বিশ্বাস করিয়াছ আমি বলিয়াছি তুমি আমাকে দ্বেষ
