পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর। কি করিয়া আমার সম্বন্ধে তুমি ইহা বিশ্বাস করিলে ? আমার অনেক রকম দোষ আছে। তাই বলিয়াই আজ তুমি, এই কথা বিশ্বাস করিলে এবং আমাকে তাহ লিখিতে সাহস করিলে ! আমি মন্ধ বলিয়া কি এত অধম ? আমি মনে জ্ঞানে এমন কথা কল্পনা করিতে পারি এই আজ নূতন শুনিলাম। আমাকে তুমি গভীর আঘাত করিয়াছ। যদি বেশী দিন আর না বাচি, এটা তোমার মনেও একটা দুঃখের কারণ হইয়া থাকিবে যে আমাকে তুমি নিরর্থক দুঃখ দিয়াছ। তোমার চিঠি পাইয় অবধি কেবলি দাবিয়াছি তুমি আমাকে না জানি কত নীচই না মনে কর। আমি বোধ করি মুখ এবং নীচ বলিয়াই তুমি আমার সম্বন্ধে ( সম্প্রতি কলিকাতায় এত ঘনিষ্ঠত এত কথাবাৰ্ত্ত হইয়া যাইবার পরেও ) এই কথা বিশ্বাস করিতে পারিয়াছ । না হইলে মনে করিতে না এমন হইতেই পারে না। আমার শপথ রহিল উপীন, আমাকে পত্র পাইবামাত্রই লিখিবে তুমি আর এ কথা বিশ্বাস কর না। আমি সুরেনকে কিছুদিন পূৰ্ব্বে লিখিয়াছিলাম আমার মনে হয়, আমাকে বিদ্বেষ করিয়াই যেন এসব ছাপা হইতেছে। তার কারণ, আমিও সমাজপতিকে লিখি ওগুলো আর "পাইবেন না-তথাপি আমাকে কোন উত্তর মা দিয়াই ছাপা হর্ভূত লাগিল । যাই হৌক এখন ভিতরকার কথাটাও জানিতে পারিলাম। তুমিও যে ওই কথা সমাজপতিকে বলিয়াছিলে তাহ এখন আরো জানিয়া সমস্ত ব্যাপারটা বুঝিলাম। তুমি যে আমার কত মঙ্গলাকাজী তাও যদি না বুঝিতাম উপীন, এমন করিয়া আজ গল্প লিখিতেও পারিতাম না। আমি মাহুষের হৃদয় বুঝি। তুমি যেমন তোমার অস্তুর্যামীর কাছে নিৰ্ভয়ে অলঙ্কোচে বলিতে পার “আমি শরতকে