পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སོ་ནི་ང་ শরৎচন্দ্রের পত্রাবলী চণ্ডীপাঠক হইতে আমার লজ্জাও করে। একটা কাগজে নিয়মিত লিপি এই যথেষ্ট । যে আমার লেখা পড়িতে ভালবাসে সে এই কাগজই পড়িবে এই আমার ধারণ । তা ছাড়া হোমিওপ্যাথি ডোজে এতে একটু ওতে একটু অশ্রদ্ধা ক'রে যা-ত ক’রে, তর্জমা করে, পরের ভাব চুরি করে—এ সব ক্ষুদ্রতা আমার ছেলেবেলা থেকেই নেই। আর এত লিখিতে গেলে পড়াশুনা বন্ধ করিতে হয়, সেটা আমার মৃত্যু ন হইলে আর পারিব না ...আমার ছোট গল্পগুলা কেমন যেন বড় হইয় পড়ে, এটা ভারী অসুবিধার কথা । আরো এই যে আমি একটা উদ্দেশ্য লক্টয়াই গল্প লিখি, সেটা পরিস্ফুট না হওয়া পর্যন্ত ছাড়িতে পারি না। বিন্দু ছেলে আমি ভাবিয়াছিলাম আপনার পছন্ম হুইবে না, হয়ত প্রকাশ করিতে ইতস্তত: করিবেন । তাই পাছে আমার খাতিরে অর্থাৎ চক্ষুলজ্জার খাতিরে নিজে ক্ষতি স্বীকার করিয়াও প্রকাশ করেন, এই আশঙ্কায় আপনাকে পূৰ্ব্বেই সতর্ক করিয়া দিতেছিলাম। অর্থাৎ sincere ভূওয়া চাই—যদি সত্যই আপনার ভাল লাগিয়া থাকে, ছাপাইয়া ভালই করিয়াছেন, তাতে পাঠক যাই বলুক। ‘নারীর মূল্য’ আগামী বারে শেষ করিয়া আর একটা মুরু করিব । নারীর মূল্যের বহু সুখ্যাতি হইয়াছে। আমি মনে করিয়াছি, ১৪টা মূল্য ঐ রকমের লিখিব ! এবারে হয় প্রেমের মূল্য, না হয় ভগবানের মূল্য লিখিব । তার পরে ক্রমশঃ ধর্মের মূল্য, সাংখ্যের মূল্য ও বেদান্তের মূল্য লিখিব।” চরিত্রহীন মাত্র ১৪১৬ চ্যাপটার লেখ আছে, বাকীটা অন্যান্ত খাতায় বা ছেড়া কাগজে লেখা আছে, কাপি করিতে হইবে । ইহার শেষ কয়েক চ্যাপটার যথার্থই grand করিব । লোকে প্রথমট যা ইচ্ছা বলুক, কিন্তু শেষে তাহাদের মত