পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্দ্রের পত্রাবলী ף כי দুই একটা কথা ‘চরিত্রচীন সম্বন্ধে বলি। এ সম্বন্ধে লোকে কে কি বলে শুনিলেই আমাকে জানাইবে । এই বইখানার বিষয়ে এত লোকের এত রকম অভিপ্রায় যে ঐ [moral] হৌক [immoral] হেীক, লোকে যেন বলে, “হ্যা একটা লেখা বটে।” আর এতে আপনার বানামের ভয় কি ? বদনাম হয় ত আমার। তা ছাড়া কে বলিতেছে আমি গীতার টীকা করিতেছি ? "চরিত্রহীন” এর নাম —তখন পাঠককে ত পূৰ্ব্বাহেই আভাস দিয়াছি—এটা সুনীতিসঞ্চারিণী সভার জন্তও নয়, স্কুলপাঠ্যও নয়! টলস্টয়ের “রিসরেকৃসমৃ” তাহার একবার যদি পড়ে তাঙ্গ হইলে চরিত্রহীন সম্বন্ধে কিছুই লিবার থাকিবে না । তা ছাড়া, ভাল বই, যাঙ্গ art হিসাবে--Psychology হিসাবে বড় বই, তাহাতে দুশ্চরিত্রের অবতারণা থাকিবেই থাকিবে । কৃষ্ণকান্তের উইলে নাই ?–টাকাই সব নয়, দেশের কাজ করা দরকার ; পাচ জনকে যদি বাস্তৰিক শিখাইতে পারা যায়, গোড়ামীর অত্যাচার প্রভৃতির বিরুদ্ধে কথা বলা যায়, তার চেয়ে আনন্দের বস্তু আর কি আছে ? আজি লোকে আমাদের মত ক্ষুদ্র লোকের কথা ন শুনিতে পারে, কিন্তু একদিন শুনিবেই - একদিন এই সঙ্কল্প কুরিয়াই আমি সাহিত্যসভা গড়িয়ছিলাম, আজ আমার সে সভাও নাই, সে জোরও নাই –( 'যুগান্তর’, ৩ মাঘ ১৩৪৪ ) { শ্ৰীহরিদাস চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত ] Rangoon, 15. 11. 15. প্রিয়বরেষু—."শ্ৰীকান্তর ভ্রমণকাহিনী” যে সত্যই ভারতবর্ষে ছাপিবার যোগ্য আমি তাহা মনে করি নাই—এখনও করি না । q