পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y S o * বুৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হইয়াছিল। অথচ কিছুঃ তোমার জনিতাম না। এই পত্র পড়িতে সময় কিছু নষ্ট হঠল বটে, কিন্তু সময় কি শুধুই প্রহর দণ্ড পল বিপল ? তার অতিরিক্ত আর কিছুই নয় ? সে দিয়া তোমার এই সুদীর্ঘ পত্র লিপিতে এবং আমার পড়িতে ও চিন্তা করিতে কিছুই নষ্ট হয় নাই, বরঞ্চ কিছু সঞ্চয়ই হইল মেয়েদের ২৩ হইতে ৩৫ বৎসর বয়সের মধ্যেই সঙ্কটজনক সময়, কারণ ১২২৩এর পরে, যখন সত্যকার প্রেম জাগ্রত হয়—তখন কেবল আধ্যাক্সিক ভালবাসাতে ইহার সকল ক্ষুধা মেটে না । কিন্তু এ তো গেল একটা দিকৃ—শারীরিক দিকৃ। কিন্তু আর একটা বড় দিকৃ আছে— সেইটাই চিরদিনের মীমাংসাবিহীন সমস্ত । সংসারে সচরাচর এরূপ ঘটে না, কিন্তু যে দুই চারি জনের অদৃষ্টে ঘটে, তাহাদের মত ভাগ্যবানও নাই—দুর্ভাগাও নাই । ইহাদের দুর্ভাগ্যের উপর কাব্যজগতের সকল মাধুর্য্য সঞ্চিত হইয়া উঠিয়াছে অথচ এত বড় মৃত্যও আবু নাই মুখ ছুখ ছুটি ভাই— সুখের লাগিয়া যে করে পরিতি দুখ যায় তার ঠাই । সমাজের মধ্যে যাকে গৌরব দিতে পারা যায় ন তাকে কেবল মাত্র প্রেমের দ্বারাই সুখী করা যায় না । মাদাষ্ঠী প্রমের ভার, আলগা দিলেই ছুর্বিষহ হইয়া উঠে । তা ছাড়া শুধু নিজেদের কথা নয়, ভাবি সস্তানের কথাটা সব চেয়ে বড় কথা, তাহীদের ঘাড়ে অপরের বোঝা চাপাইয়া দিবার ক্ষমতা অতি বড় প্রেমেরও নাই । ..একটা কথা —মথার্থ ভালবাসিলে মেয়েদের শক্তি ও সাহস পুরুষের অপেক্ষ ঢের বেশী । কোনে কিছুই তাহার গ্রাহ করে না । পুরুষেরা যেখানে ভয়ে অভিভূত হইয়া