পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»२२, • পুৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আড়ম্বর যত চমকপ্রদ হয়েই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করুক, সে অস্তঃসারশূন্স—সি টিকবে না । ইনটেলেকচুয়াল গল্প বলে একটা কথা তাজকাল প্রায় শুনতে পাই, কিন্তু তার স্বরূপ কখনো দেখি নি কিম্ব দেখেও যদি থাকি চিনতে পারি নি। সে দিন হঠাৎ একটা গল্প পড়েছিলুম, শেষ করে মনে হয়েছিল লেখকের বিদ্যার ভায়ে লেখাটা যেন পথের ওপর মুখ থুবড়ে পড়েচে । এ বস্তুকে কাগজে কখ প্রশ্রয় দিও না। তবে এমন কথাও মনে কোরো না, গল্পে বুদ্ধি-শক্তির ছাপ থাকা মাত্রই দোষনীয়, হৃদয়-বৃত্তির অপরিমিত বাহুল্যতায় লেখকের আহাম্মক সাজাই দরকার । ( স্বদেশ’, আশ্বি ১৩৪০ ) [ ‘প্রচারক-সম্পাদক শ্রীঅতুলানন্দ রায়কে লিখিত ] কল্যাণীয়েষ্ণু-শ্রাবণের ( ১৩৪০ ] পরিচয় ত্রিকার শ্রমান দিলীপকুমারকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র--সাহিত্যের মাত্রা— সম্বন্ধে তুমি আমার অভিমত জানতে চেয়েছে । এ চিঠি ব্যক্তিগত হলেও যখন সাধারণ্যে প্রকাশিত হয়েছে, তখন এরূপ অনুরোধ হয়ত করা যায়, কিন্তু অনেক চারপাত জোড়া চিঠির শে ছত্রের কিছু টাকা পাঠাইবা’র মতে এরও শেষ ক’লাই আসল বক্তব্য যদি এই হয় যে, ইয়োরোপ তার যন্ত্রপাতি ধনদৌলতকামান-বন্দুক মান-ই-জত সমেত অচিরে ডুবলে, তবে অত্যস্ত পরিতাপের সঙ্গে এই কথাই মনে করবে যে, বয়েস ত অনেক হলো, ও-বস্তু কি আর চোখে দেখে যাবার সময় পাবে। ! কিন্তু এদের ছাড়াও কবি তাবুও যাদের সম্বন্ধে হাল ছেড়ে দিয়েছেন, তোমাদের সন্দেহ তার মধ্যে আমিও আছি ! অসম্ভব