এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
নবীনচন্দ্র দাস কবি-গুণাকর প্রকৃতির স্নান দৃশ্ব পাইতেছে লয়, রয়েছে সমীর শাস্ত সুগভীর ভাবে, কেবল ঘুরিছে উড়ি বেগে ঝিল্লীচয়, বিরামিছে দূর গোষ্ঠ কিঙ্কিণীর রবে । বলি লতা-পরিবৃত দেউল-চুড়ায়, উলুক বিরল মুখে কহ শশধরে, কেহ যদি আসি কুঞ্জে বিঘ্ন জনমায় নির্জন রাজত্বে তার বহুকাল পরে ! ও রুক্ষ বটের তলে, তমাল-ছায়ায়, যথা জীর্ণ তৃণ-কূপে বন্ধুৰ ভূতল, রয়েছে বিলীন সবে সংকীর্ণ শয্যায়ু এ পল্লীর পিতৃগণ স্বভাব-সরল । উষার মুরভি মুখে বায়ুর মুম্বরে, চাতকের কলরবে তৃণময় নীড়ে, প্রতিধ্বনিময় শিঙ্গা, কুকুটের রবে, দীন শয্যা হ’তে আর জাগাবে ন সবে ! গৃহাগ্নি তাদের তরে জ্বলিবে না আর, গৃহিণী হবে না ব্যস্ত কাজেতে সন্ধ্যার, শিশু না আসিবে ছুটি “বাবা এল” ব’লে, সাধের চুম্বন লোভে উঠবে না কোলে !