পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\。b" শরৎচন্দ্র গু:ট্র:পাপ * সত্য তাতে ছিল না ব’লেই বিধাতা বা মুম্বার ব্যর্থতার কালিম দেশের সর্বাঙ্গে মাখিয়ে দিয়েছেন । এ কুড়ার বুদ্ধদের জন্তে নয়, এ ভার যৌবনের । তাই তো আজ ইস্কুল-ধ জ্ঞ, নগরে-পল্লীতে ভারতের প্রত্যেক ঘরে ঘরে যৌবনের ডাক পড়ে ; ডাক বৃদ্ধর দেয় নি, দিয়েছেন বিধাতাপুরুষ নিজে। তার জাহান কাণের মধ্যে দিয়ে এদের বুকে পৌছেচে যে, জননীর হাতে পায়ে বাধা এই কঠিন শৃঙ্খল ভাঙবার শক্তি অতি-প্রাজ্ঞ প্রবীশের হিসেী বুদ্ধির মধ্যে নেই, এই শক্তি আছে শুধু যৌবনের প্রাণ-চঞ্চল হৃদয়ের মধ্যে । এই নি:সংশয় আত্মবিশ্বাসে আজ ত{: প্রতিষ্ঠিত হ’তেই হবে । এত দিন বিদেশীয় বণিকূ-রাজশক্তির কোন চিন্তাই ছিল না, বুদ্ধের রাজনীতিচর্চাকে সে থেলাচ্ছলেই গ্রগুণ ক’রে এসেছিল, কিন্তু এখন তার অার খেলার অবকাশ নেই । ক দিকে এ চিহ্ন fক আপনাদের চোখে পড়ে নি ? যদি না প’ড়ে থাকে, চোথ মেলে চেয়ে দেখতে বলি । রাজশক্তি আজ ব্যাকুল, এবং অচির ভবিষ্যতে এই অন্ধ-ব্যাকুলতায় দেশ ছেয়ে যাবে—এ সত্যও আজ আপনাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে বলি । আ ও বলি, সে দিন যেন এই সত্যোপলব্ধির অবমাননা না ঘটে । এখানে একটা কথা ব’লে রাখি । কারণ সন্দেহ হ’তে পারে, সৰ্ব্বদেশেই তা রাজনীতি পরিচালনার ভর বৃদ্ধদের স্কন্ধে দ্যস্ত থাকে, কিন্তু এখানে তার অন্যথা হলে কেন ? অস্তথা এখানেও হবে না, একদিন তাদের পরেই রাজা শাসনের দায়িত্ব পড়বে । কিন্তু সে দিন আজ নয়। এখনও সে এসে পৌছয় নি। কারণ, দেশ শাসন করা ও স্বাধীন করা এক বস্তু নয়। এ কথা মনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে, রাজনীতি-পরিচালনা একটা পেশা । যেমন