3 8 R শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তলোয়ার ও ড়ে খেল। এত দিন Physical cultureএর দিকে ছাত্র-সমাজ একেবারে বিমুখ হ’য়ে পড়েছিল । মনে হয়, এইটে ধীরে ধীরে আবার যেন ফিরে আসচে । এই প্রত্যাগমনকে আমি সৰ্ব্বাস্ত;করণে অভিনন্দিত করি । তার দেখেচে, দুৰ্ব্বল শক্তিহীনেরই শুধু পাখির ঘায়ে প্লীহা ফাটে । শক্তিমান পাঠানকাবুলাওয়ালার ফাটে না । ফাটে বাঙালীর। বোধ হয় বারম্বার এই ধিক্কারেই শারীরিক শক্তি অর্জনের স্পৃহ ফিরে এলো । Physical cultures, “if ato, off-gott: কৌশল আয়ত্ত হয়, সাহস বুদ্ধি পায়,-কিন্তু তবুও এ কথা ভুললে চলবে না যে, এ সমস্তই দেহের ব্যাপার। অতএব এই-ই ট্রক নয়। সাহস বাড়া এবং নিভীকতা অর্জন কোন মতেই এক একটা দৈহিক, অন্তটা মানসিক । দেহের শক্তি ও কে শল বৃদ্ধিতে অপেক্ষাকৃত দুৰ্ব্বল ও আকৌশলীকে পরাভূত করা যায়, কিন্তু নিৰ্ভয়ের সাধনায় শক্তিমানকে পরাস্ত করা যায়,–সংসারে কেউ তাকে বাধা দিতে পারে না, সে হয় অপরাজেয় ! তা প্রারম্ভে যে কথা একবার বলেচি, তারই পুনরুক্তি করে আন্ বলি যে, এই অভয় আশ্রম সেই সাধনাতেই নিযুক্ত। এ দে ছু-সাধনা তারই একটা সোপান. একটা উপায় । এ তা ের পথ---শেষ লক্ষ্য ময়ু । অভাব, দুঃখ, ক্লেশ, প্রতিবেশীর লাঞ্ছনা, বন্ধুজনের গঞ্জন, প্রবলের উৎপীড়ন কোন কিছুই যেন এদের মুক্তির পথকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে—এই এদের একাত্ত পণ । এই তো নিৰ্ভয়ের সাধনা এবং তাই সত্য-মিঠাই এদের গন্তব্য পথকে নিরস্তুর আলোকিত ক'রে চলেছে । খদ্দর প্রচার, জাতীয় বিদ্যালয়ু প্রতিষ্ঠা, হাসপাতাল খোলা, তাত্ত্বের সেবা, এ সব ভালো
