পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为敬8 শবুৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যঃস্থ শুনিয়া ইছারা ম্ৰিয়মাণ হইয়া যায় । হয় ত কেহ কেহ ভাবে, হবেও বা। চরকা কাটিতেই যখন পারিলাম না, তখন আমাদের স্বারা আর কি হইবে ? কিন্তু আমি বলি, হতাশ হইবার কারণ নাই । অনিলবরণের কৰ্ম্ম-পদ্ধতি অন্তত: বছরখানেক trial দিয়া দেখা উচিত । কারণ, আরও সহজ। চরকা কিনিতে হইবে না, শিখিতে হইবে না, তুলার চাষ করিতে হইবে না, বাজাজের শরণাপন্ন হইতে হইবে না –কোনও মুস্কিল নাই। আর পদ্মার চর হইলে তো কথাই নাই, ছিড়িতেও হইবে না, ধরা মাত্রেই খুশ করিয়া উপড়াইয়া আসিবে স্বরাজ মুঠার মধ্যে । কিন্তু অনিলবরণ বলিয়াছেন, আস্থাহীন হইলে চলিবে না । আপাতদৃষ্টিতে এই প্রথায় যত ছেলেমাচুষি দেখাক, যুক্তি যত উল্টা কথাই বলুক, তথাপি বিশ্বাস করিতে হুইবে । এক বৎসরে Dominion Status অধশ্বাস্তাবী ! হইবেই হইবে। যদি না হয় ? সে লোকের অপরাধ, প্রোগ্রামের নয় । এবং তখন অনায়াসে বলা চলিবে, এত সহজ কৰ্ম্ম-পদ্ধতি যে দেশের লোক নিষ্ঠার সহিত গ্রহণ করিয়ু সফল করিতে পারিল নী, তাহাদের দিয়া কোনও কালেই কিছুই হইবে না। আসল জিনিষ বিশ্বাস ও নিষ্ঠ । একটার যখন সুবিধা হইল না, তখন তার একটা লওয়া কৰ্ত্তব্য । এমনি করিয়! চেষ্টা করিতে করিতেই একদিন খাটি প্রোগ্রামটি ধরা পড়িবে | পড়িবেই পড়িবে। জয় হোক অমিলবরণের ; কত সস্তায় স্বরাজের রাস্ত বাৎলে দিলেন ! নিখিল-ভারত-কাটুনি-সজ্য খবর দিতেছেন, বিশ লাখ টাকার চরকা কিনিয়া বাইশ লাখ টাকার খাদি প্রস্তুত হইয়াছে। উৎসব লাগিয়া গেল, সবাই কহিল—আর চিস্ত নাই, বিদেশী কাপড় দূর