পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為鉱br শরৎচন্দ্র ১:ট:প:ধf:যু ধৰ্ম্মবিশ্বাসেও তার কারো হতে ছোট নয় । তাদের বেদ, তাদের উপনিষদ, বহু মাতুম্বের বহু তপস্যার ফল । তপস্যার মানেই হ’ল চিন্তা । বহুজনের বহুতর চিস্তার ফলে যে ধৰ্ম্ম গড়ে উঠেচে, আইনসভায় গুটিকত আসম কম হবার আশঙ্কায় তাকে সৰ্ব্বনাশের ভয় দেখাবার প্রয়োজন বোধ করি ছিল না । [ ‘নাগরিক', শারদীয়া সংখ্যা, ১৩৪১ ] মহাত্মার পদত্যাগ সংবাদ আসিয়াছে, মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেসের নেতৃত্ব পরিত্যাগ করিয়াছেন । খবরটা আকস্মিক নয়। কিছুদিন যাবৎ এমনি একটা সম্ভাবনা বাতাসে ভাসিতেছিল, মহাত্মা রাজনীতির প্রবাহ হইতে আপনাকে অপস্থত করিয়া স্বীয় বিশাল ব্যক্তিত্ব, বিরাটু কৰ্ম্মশক্তি ও একাগ্র চিত্ত ভারতের আর্থিক, নৈতিক ও সামাজিক সমস্তার সমাধানে নিয়োজিত করিবেন । তাহাই হই ছে | দেখা গেল, জাতীয় মহাসমিতির সভামণ্ডপে বহু কৰ্ম্ম হু ভক্ত, বহু বন্ধুজনের আবেদন নিবেদন, অনুনয় বিনয় তা ছকে সংকল্পত্যুত করিতে পারে নাই । পারার কথাও নয় । বহু বার বহু বিষয়েই প্রমাণিতৃ হইয়াছে, অশ্রধারার প্রবলত দিয়া কোন দিন মহাস্নাজিকে বিচলিত করা যায় না । কারণ, তার নিজের যুক্তি ও বুদ্ধির বড় সংসারে আর কিছু আছে, বোধ হয় তিনি ভাবিতেই পারেন না। কিন্তু তাই বলিয়া এ কথা বলি না, এ বুদ্ধি সামান্ত ব। সাধারণ। এ বুদ্ধি অসামান্ত, অসাধারণ। অমুরাগিগণের ঢাকিয়া রাখার বহু চেষ্টা সত্ত্বেও এ বুদ্ধি তাহার কাছে অবশেষে