পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰুিশিষ্ট্র እዬሽU এ সত্য উদঘাটিত করিয়াছে যে, কংগ্রেসে তাহার প্রয়োজনীয়তা অস্তুতঃ বৰ্ত্তমানের জন্ত শেষ হইয়াছে, অথচ বিস্ময় এই যে র্তাহার দুঃসহ প্রভুত্বে র্যাহারা নিজেদের উৎপীড়িত, লাঞ্ছিত জ্ঞান করিয়াছেন, মহাত্মার চিন্তা ও কাৰ্য্যপদ্ধতির অনুধাবন করিতে পদে পদে র্যাহার দ্বিধাগ্রস্ত হইয়াছেন, নেপথ্যে অসুযোগ অভিযোগের সাহাদের অবধি ছিল না, তাছারাও সে কথা প্রকাশ্বে উচ্চারণ করিতে সাহস করেন নাই । বরঞ্চ, নানারূপে তাহার প্রসা; লাভের জন্য যত্ন করিয়া সেই নেতৃত্বেই তাহাকে প্রতিষ্ঠিত রাখিবার প্রাণপণ করিয়াছেন । বোধ করি, শঙ্কা উচিাদের এই যে, এত্ত বড় ভারতে নেতৃত্ব করিবার লোক আর তাহারা খুজিয়া পাইবেন না। কিন্তু খুজিয়া না পাওয়া গেলেও এ কথা বলিব যে, যেখানে স্বাধীন চিন্তা, স্বাধীন উক্তি, স্বাধীন অভিমত বাবুম্বার প্রতিরুদ্ধ হইয়া জাতীয় মহাসমিতিকে পঙ্গুপ্ৰায় করিয়া আনিয়াছে, সেখানে মহাত্মার, অথবা কাহাবুও নিরবচ্ছিন্ন সাৰ্ব্বভৌম আধিপত্য কল্যাণকর নয় } আজ মহাত্মার মত, পথ ও যুক্তির আলোচনা করিব না। চবুকায় দেশের অধোগতি প্রতিহত করিতে পারে কি না, অদ্রোহ অসহযোগে দেশের রাজনৈতিক মুক্তি আনিতে পারে কি না, অাইন অমান্ত আন্দোলনের শেষ পরিণাম কি, এ সকল প্রশ্ন আজ থাক । কিন্তু মহাত্মার এ দাবী সত্য বলিয়াই স্বীকার করি যে, তাছার প্রবর্হিত পথে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাই । এক দিন কংগ্রেস আবেদন নিবেদন অভিযোগ অনুধোগের সুদীর্ঘ তালিক প্রস্তুত করিয়াই নিজের কৰ্ত্তব্য শেষ করিত । বঙ্গবিভেদের দিনেও জাতীয় মহাসমিতি বঙ্গকে তাহার অঙ্গ বলিয়া