বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যানুরাগ । শৈশব হইতেই কবিতা-রচনায় ঈশানচ, অম্বুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি নিজেই লিখিয়া গিয়াছেন -“কবিতা-রচনায় গ্রন্থকারের আশৈশব আমোদ , বাল্যাবস্থা হইতেই বনের ফুল, জলের চেউ.আকাশের দামিনী ইত্যাদি বৰ দেখিয়া গ্রন্থকাবের হয় নাচিা উঠিত এবং অবসর পাইলেই সেই হয় উচ্ছ্বাসগুলি শুধু তাহাই কেন— স্নেহ, আশা, নৈরাপ্ত, ক্ষোভ ও ভয় প্রভৃতি হৃদয়ের কোমল প্রবৃত্তিগুলি, কবিতায় প্রকটত করিয়া নিজেই আমোদ অনুভব কবিত” (চিত্তমুকুর' )। ঈশানচন্দ্রের প্রাথমিক রচনাগুলি প্রধানতঃ ভূদেব মুখোপাধ্যায়- ] সম্পাদিত এডুকেশন গেজেট’ ও কালীপ্রসন্ন ঘোষ-সম্পাদিত বান্ধবে: স্থান পাইয়াছিল । কালীপ্রসন্ন তাহার রচনার কিরূপ অমুরাগী ছিলেন, নিম্নোদ্ধত পত্রাংশে তাহার নজীর মিলিবে – প্রিয় ঈশানবাৰু! যদি অপাত্রে অনুগ্রহ করিয়া পরিক্লান্ত হন, তবে অীমায় আর স্মরণ করিবেন না ; আৰু যদি এই অহেতুকী শ্রদ্ধাই আপনার প্রকৃতির স্বাভাবিক গতি হয়, তবে আশা করিতে পারি চিরদিনই এইরূপ অনুগ্রহ প্রদর্শন করিবেন।...আপনার লেখায় কেমন একটু তান আছে, তাহা আমি বড় ভালবাসি। আপনি একবার কোন ঐতিহাসিক ঘটনা অবলম্বন পূর্বক বান্ধ একটি দীর্ঘ কবিতা দিবেন। ঐ রূপ কবিতা না হইলে আপনাডু মুচিত বিকাশ হইবে না •••( ২৪ জুলাই ১৮৭৬ ) আপনি শিবজীর বিষয় আপাতত: লিখিবেন না।...পৃথুরাজের স্বস্থপতি বীরচুড়ামণি সমরশায়ীকে অবলম্বন করিয়া স্বদীর্ঘ একটি কবিতা লিখুন ; দুই তিন বারে প্রকাশ করিব।.সমরশায়ীর প্রেম, সমত্বশায়ীর স্বদেশ-বাংসল্য, উগ্রতেজী, রণনৈপুণ্য ইত্যাদি কথা