বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় পণ্ডিতবর শ্ৰীযুত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় পা দিবিবেক ও মল্লিনাথের টীকা সহিত মেঘদূতের ষে সংস্করণ প্রচা পয়াছেন, তাহা অবলম্বন করিয়া এই অনুবাদ পুস্তক লিখিত হইল : কেবল বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রক্ষিপ্ত বলিয়া যাহা ত্যাগ করিয়াছেন, এধুপ দুইটী শ্লোক উত্তর মেঘের দ্বিতীয় শ্লোকের পর রাখিয়া দিয়াছি । " দুইটা অনেকে মেঘদূত হইতে উদ্ধৃত করেন বলিয়। রাখিলাম। সংস্কৃত মেঘ দ্যোপাস্ত একই ছন্দে লিখিত। এ নিমিত্ত সমুদয় শ্লোকই একবিধ বাঙ্গালা মিত্রাক্ষর কবিতায় অনুবাদ করিলাম। মূলের সহিত মিলাইয়া দেখিবার সুবিধা করিবার নিমিত্ত মূল ও অনুবাদ একত্রে দেওয়া গেল।”-ভূমিকা । হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বঙ্গদর্শনে’ ( ‘অগ্রহায়ণ, পৌষ, ফাল্গুন ১২৮৯ ) ‘মেঘদূতের এক সুদীর্ঘ সমালোচন। লিখিয়াছিলেন। তাহার মতে :– “মূলের ভাব বিয়া সংস্কৃতের প্রতি বাক্যের সম্পূর্ণ অনুবাদ করণে রাজকৃষ্ণ বাবুর ন্যায় দক্ষ ব্যক্তি বাঙ্গালায় অতি দুর্লভ। রাজকৃষ্ণ বাৰু নিজে কবি এবং কালিদাসের সম্পূর্ণ মৰ্ম্মগ্রহী ; আমরা তাহার অনুবাদ আয়ুস্ত পাঠ করিয়াছি । যদি কেহ সংস্কৃত পাঠের পরিশ্রম স্বীকার মা করিয়া মেঘদূত পাঠের ফললাভ করিতে চান, তাহার পক্ষে রাজকৃষ্ণ বাৰুর গ্রন্থ অত্যন্ত উপযোগী হইবে । বাঙ্গালায় মেঘদূতের আর দুইএকখানি অকুবাদ আছে, তদপেক্ষা মূলের সহিত ঐক্য র লম্বন্ধে রাজকৃষ্ণ বাবুর অমুবাদ যে সৰ্ব্বাংশে উৎকৃষ্ট তাহা বলা অনাবশুক ।” রচনার নিদর্শন-স্বরূপ মেঘদূতের একটি শ্লোক ও রাজকৃষ্ণ কর্তৃক তাহার বঙ্গানুবাদ উদ্ধৃত করিতেছি – তম্বী গুণমা শিখরিদর্শন পঙ্কবিম্বাধরোষ্ঠী মধ্যে ক্ষমা চকিত-হরিণী-প্রেক্ষণা নিমনভি: |