বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

” রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় র্তাহার এই প্রবন্ধগুলি পড়িলে গদ্যরচনায় তাহার অসামান্য পারদর্শিতা উপলব্ধি করিবেন । তিনি সৰ্ব্বপ্রথম বঙ্গদর্শনে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখিয়া বাংলা দেশে বিদ্যাপতির যথার্থ পরিচয় দিয়াছিলেন । গদ্যরচনার সামান্ত নমুনাও এখানে প্রদত্ত হইল । যৌবনোদ্যান – so হের বসি পুষ্পাসনে যেন দুলিচায়, খচিত প্রবাল-মুক্ত-হীরক-কাঞ্চনে, প্রশান্ত বসন্ত দেব, রূপের আভায়, ভাল করি আলো করি সে নিকুঞ্জবনে ; শীত-শাস্ত-সৌদামিনী-শোভ সে আননে, সন্ধ্যার কপালে জলে যে তারারতন, লজ্জা পায় মিলাইলে সে নয়ন-সনে ; সে ভুরুভঙ্গিম। দেখি করিলা গঠন ফুলধন্থ ফুল-ধৰ্ম জগতের মানসমোহন । ५ কৌস্তুভরতন জিনি ওষ্ঠের বরণ, দস্তগুলি মুক্তাবলী সিন্দরে মাজ্জিত । গলায় ফুলের হার লোচনরঞ্জন, নবমীর বাতি নিন্দি কর সুশোভিত ; বৃষস্কন্ধ, মধ্য ক্ষীণ মুগেন্দ্র-বাস্থিত । শিরীষ-কুসুম-স্তম্ভে করিয়া লাঞ্ছনা সুকোমল মনোহর উরু সুবলিত ; সুন্দর দপণ দিয়া নখের রচনা, পাড়ি তাহে দেহকান্তি শোভে কিবা গোলাপগঞ্জমা ।