পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ও বাংলা-সাহিত্য ఙ হওয়া বায়। গ্রামটি কুমার নদের পূর্বতীরে অবস্থিত এামাস্ট গোস্বামীদিগের জমিদারির অন্তর্গত। এখানে অনেকগুলি ভদ্রলোকের বসতি আছে। নীলের হাঙ্গামায় বিখ্যাত মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এখানকার এক জন দলপতি ছিলেন । এখানে একটি ইংরাজি স্কুল, একটি বালিকাবিদ্যালয়, ও দুইটি বাঙ্গল পাঠশালা আছে। গ্রামে ব্রাহ্মণের ভাগই অধিক ; কায়স্থদের মধ্যে অনেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাণিজ্য ব্যবসায় করিতে গিয়া থাকে। গোস্বামীরাই পূৰ্ব্বে এখানকার প্রধান লোক ছিলেন ; কিন্তু বংশবৃদ্ধি ও তন্নিবন্ধন বিষয় বিভাগে র্তাহাদের অবস্থা অনেক দূর মন্দ হইয়া পড়িয়াছে। বেগবতী অর্থলালসাও তাঁহাদের মানের অনেক হানি করিয়াছে। গুণবিলোপিনী অজ্ঞানতাও বংশমধ্যে বিস্তীর্ণ হইয়৷ পূৰ্ব্বসৌন্দর্য্য হরণ করিয়াছে। গোস্বামীদের বাটতে রাধারমণ নামে একটি ত্রিভঙ্গ মুরলীধরের মূৰ্ত্তি আছে । এই বিগ্রহের প্রভাবে অস্থাপি গোস্বামীদের অনেকের অন্ন চলিতেছে। গ্রামের পুরাতন কীৰ্ত্তির মধ্যে রাধারমণের একটি ভগ্ন মন্দির আছে । মন্দিরটি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত, এবং যদিও অনেকখানি মাটির নীচে বসিয়া গিয়াছে, তথাপিও অতি উচ্চ দেখায় । মন্দিরের ইষ্টকে বিবিধ প্রকার শিল্পচাতুৰ্য্য দৃষ্ট হয়। কোথায় লতাকাটা, কোথায় ফুলকাটা, কোথায় বা পৌরাণিক ইতিবৃত্ত খোদিত রহিয়াছে। কোন দিকে দেখ, ধরাসনে দণ্ডায়মান কৌশল্যা-মন্দন ও সৌমিত্রি গজবাজি রথারোহী রাক্ষসগণের সহিত তুমুল সংগ্রাম করিতেছেন ; হনুমান এক হস্তে প্রকাগু বৃক্ষ, ও অন্য হস্তে পৰ্ব্ব তখণ্ড ধারণ করিয়া, বিপক্ষদল প্রতি নিক্ষেপ করিতে প্রস্তুত । কোন স্থলে বা কুরুক্ষেত্র রণক্ষেত্র ক্ষত্ৰকুলগৰ্ব্ব বীররা জদিগের সমরকুশলতা প্রকাশ করিতেছে । কোথায় বা ভীষণ মহিষাস্থর বিশাল বিক্রম সহকারে দশভূজ দেবীর সহিত 'දා