পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| চারিত্রিক বিশেষত্ব రి বিধবা-বিবাহ হইতে আরম্ভ করিয়া বীটন-কলেজের প্রতিষ্ঠা পৰ্য্যস্ত যে-কোনও কার্য্য তাহার উদাহরণ। এক দিকে র্তাহার প্রকৃতি যেমন বলিষ্ঠ ছিল, অন্য দিকে র্তাহার স্বভাব ছিল তেমনই কোমল ও সরল। তাই শত্রু-মিত্ৰ সকলেরই তিনি প্রশংসাভাজন ছিলেন। " নানারূপ সমাজ-সংস্কারে হাত দিলেও বেশভূষায়, আচার-ব্যবহারে তিনি কখনও সাহেবদের নকল করেন নাই – “ব্রাহ্মণপণ্ডিত যে চটিজুতা ও মোট ধুতিচাদর পরিয়া সৰ্ব্বত্র সম্মান লাভ করেন, বিদ্যাসাগর রাজদ্বারেও তাহা ত্যাগ করিবার আবশ্যকতা বোধ করেন নাই। তাহার নিজের সমাজে যখন ইহাই ভদ্রবেশ, তখন তিনি অন্য সমাজে অন্য বেশ পরিয়া আপন সমাজের ও সেই সঙ্গে আপনার অবমাননা করিতে চাহেন নাই। শাদা ধুতি ও শাদা চাদরকে ঈশ্বরচন্দ্র যে গৌরব অর্পণ করিয়াছিলেন, আমাদের বৰ্ত্তমান রাজাদের ছদ্মবেশ পরিয়া আমরা আপনাদিগকে সে গৌরব দিতে পারি না ; বরঞ্চ এই কৃষ্ণু চৰ্ম্মের উপর দ্বিগুণতর কৃষ্ণকলঙ্ক লেপন করি। আমাদের এই অবমানিত দেশে ঈশ্বরচন্দ্রের মত এমন অখণ্ড পৌরুষের আদর্শ কেমন করিয়া জন্মগ্রহণ করিল, আমরা বলিতে পারি না।” ( বুবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : “বিদ্যাসাগর-চরিত,” ‘সাধন, ভাদ্র ১৩৪২, পৃ. ৩৩৯ ) সামাজিক বিষয়ে তাহার অসাধারণ ঔদার্ষ্য ছিল। কাহাকেও তিনি ঘৃণা করিতেন না, কাহাকেও তিনি হীন বলিয়া মনে করিতেন না। সকলের সহিত তিনি সমানভাবে মিশিতেন, বড়লোক ছোটলোক অথবা উচ্চ জাতি নীচ জাতি বাছিতেন না। নিজেকেও তিনি কাহারও কাছে খাটো করিতেন না। যে র্তাহাকে শ্রদ্ধা করিত, তাহার সহিত