পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রিক বিশেষত্ব x * * পাইয়াছিল। সকল বাধা অতিক্রম করিয়া বিধবা-বিবাহের প্রবর্তন র্তাহার দুর্জয় দৃঢ়চিত্ততার আর একটি উদাহরণ। দেশের সমগ্র রক্ষণশীল শক্তি সংহত হইয়াও র্তাহাকে দমাইতে পারে নাই। পুত্র নারায়ণচন্দ্রের বিবাহ উপলক্ষে তিনি সহোদর শম্ভুচন্দ্রকে লিখিয়াছিলেন,— “বিধবা-বিবাহের প্রবর্তন আমার জীবনের সূৰ্ব্বপ্রধান সংকৰ্ম্ম, জন্মে ইহার অপেক্ষা অধিক আর কোন সংকৰ্ম্ম করিতে পারিব, তাহার সম্ভাবনা নাই ; এ বিষয়ের জন্য সৰ্ব্বস্বাস্ত করিয়াছি এবং আবশ্বক হইলে প্রাণান্ত স্বীকারেও পরাজুথ নই।...আমি দেশাচারের নিতান্ত দাস নহি, নিজের বা সমাজের মঙ্গলের নিমিত্ত যাহা উচিত বা আবশ্বক বোধ হইবেক তাহা করিব ; লোকের বা কুটুম্বের ভয়ে কদীচ সঙ্কুচিত হইব না।” নিজের রচনা ছাড়াও অপরকে বাংলা-সাহিত্যের সাধনায় উৎসাহিত করিয়াও তিনি বঙ্গবীণাপাণির ঐশ্বৰ্য্যভাণ্ডার বৃদ্ধি করিয়াছেন ; অক্ষয়কুমার দত্ত ও মধুসূদন দত্তের সাহিত্য-স্থষ্টির মূলে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অযাচিত উৎসাহ কতখানি কাজ করিয়াছে, তাহ ভাবিলে অবাক হইতে হয়। ‘তত্ত্ববোধিনী, সৰ্ব্বশুভকরী প্রভৃতি বাংলা সাময়িক-পত্র তাহার সর্বাবিধ পোষকতা লাভ করিয়াছিল। সোমপ্রকাশ’ তিনিই প্রথম প্রকাশ করেন। হিন্দু পেটুরিয়টের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠতাও সৰ্ব্বজনবিদিত। সাহিত্য, সমাজ ও শিক্ষার উন্নতিকল্পে উনবিংশ শতাব্দীতে অপর কোনও এক ব্যক্তিকে এতখানি পরিশ্রম করিতে দেখা যায় নাই। বস্তুতঃ বিদ্যাসাগর মহাশয় সে কালের পণ্ডিতকুলের অগ্রগণ্য হইলেও তাহার মত প্রগতিশীল আধুনিক মন লইয়া কেহ সমাজ ও শিক্ষাসংস্কারে ব্ৰতী হন নাই। তিনি নিয়মনিষ্ঠ ভালবাসিতেন, ইংরেজী শিক্ষার