পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՀԵ प्लेक्झाव दिशांगांशत्र পোষকতা করিডেন, ১৮৫০ খ্ৰীষ্টাধেই বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করিতে ভীত হন নাই ; বিধবাদের পুনর্বিবাহের জন্তু সৰ্ব্বস্ব পণ করিয়াছিলেন ; বহুবিবাহ সমৰ্থন করিতে পারেন নাই। যে তত্ত্ববোধিনী সভাকে সে কালে রক্ষণশীল হিন্দুসমাজ সন্দেহের চক্ষে দেখিতেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় শুধু সংপরামর্শ নয়, নিয়মিত অর্থসাহায্য—এমন কি, সম্পাদকের কাৰ্য্য করিয়া সেই সভার পোষকতা করিতেন। ১৮২৯ হইতে ১৮৪১ খ্ৰীষ্টা পৰ্য্যন্ত পূর্ণ এক যুগ কাল সংস্কৃত কলেজে ব্যাকরণ, সাহিত্য, অলঙ্কার, বেদান্ত, স্মৃতি ও ন্যায় অধ্যয়ন করিয়া এবং গোড়া ব্রাহ্মণ-পরিবারের সন্তান হইয়া তিনি যে কেমন করিয়৷ এই ংস্কারমুক্ততা অর্জন করিলেন, তৎকাল-প্রচলিত জ্ঞান ও শিক্ষার মধ্যে এই উদারতার বীজ কোথায় কেমন ভাবে তাহার মনে উপ্ত হইল, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়েও তাহার রহস্ত আমাদিগকে অভিভূত করে। আসলে বিদ্যাসাগর দেবত্ব ও ব্রহ্মণ্যের সকল গৌরব-বর্জিত ভাবে মাতুষকে মাতুষরূপেই মহৎ ও মহনীয় দেখিতে চাহিয়াছিলেন এবং তাহা চাহিয়াছিলেন বলিয়াই এই গুরু ও শালগ্রামশিলার দেশে তাহাকে অপরিসীম লাল ভোগ করিতে হইয়াছিল। অকারণ আঘাতে আঘাতে র্তাহার কুসুম-কোমল মন পাষাণ-কঠোর হইয়া উঠিয়াছে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস করিয়াছেন, কিন্তু এই অসহায় নিপীড়িত সমাজের জন্য তাহার কল্যাণহস্তকে নিরস্ত করেন নাই ; বিদ্যাসাগর-চরিত্রে এই মানব-প্রতিই সৰ্ব্বাপেক্ষ বিস্ময়কর বস্তু। এই বিরাটু পুরুষ বিদ্যাসাগরের জীবন-কাহিনী আমরা রবীন্দ্রনাথের প্রশস্তি দিয়া শেষ করিতেছি,—