পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাত্র-জীবন SS আদালতে জঙ্গপণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হইয়া থাকে। অতএব, আমার বিবেচনায়, ঈশ্বরকে সংস্কৃত কলেজে পড়িতে দেওয়াই উচিত। চতুষ্পাঠী অপেক্ষ কলেজে রীতিমত সংস্কৃত শিক্ষা হইয়া থাকে। বাচস্পতি মহাশয় এই বিষয়ু বিলক্ষণরূপে পিতৃদেবের হৃদয়ঙ্গম করিয়া দিলেন। অনেক বিবেচনার পর, বাচস্পতি মহাশয়ের ব্যবস্থাই অবলম্বনীয় স্থির হইল।” ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণী ; নয় বংসর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজে ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণীতে প্রবেশ করেন : "১৮২৯ খ্ৰীষ্টীয় শাকে, জুন মাসের প্রথম দিবসে, আমি কলিকাতাস্থ রাজকীয় সংস্কৃত বিদ্যালয়ে বিদ্যার্থিরূপে পরিগৃহীত হই। তৎকালে আমার বয়স নয় বৎসর। ইহার পূৰ্ব্বে আমার সংস্কৃতশিক্ষার আরম্ভ হয় নাই। ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণীতে প্রধিষ্ট হইয়া, ঐ শ্রেণীতে তিন বৎসর ছয় মাস অধ্যয়ন করি। ..কুমারহট্রনিবাসী পূজাপদ গদাধর তর্কবাগীশ মহাশয় তৃতীয় শ্রেণীর অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষাদান বিষয়ে তর্কবাগীশ মহাশয়ের অসাধারণ নৈপুণ্য ছিল। তৎকালে সকলে স্পষ্ট বাক্যে স্বীকার করিতেন, ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের শিক্ষা বিষয়ে যেরূপ কৃতকাৰ্য্য হয়, অপর দুই শ্রেণীর ছাত্রের কোনও ক্রমে সেরূপ হয় না। বস্তুত: পূজ্যপাদ তর্কবাগীশ মহাশয় শিক্ষাদানকার্ঘ্যে বিলক্ষণ দক্ষ, সাতিশয় যত্নবান ও সবিশেষ পরিশ্রমশালী বলিয়। অসাধারণ প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন।” ( শ্লোকমঞ্জরী, বিজ্ঞাপন ) ব্যাকরণ-শ্রেণীতে প্রবেশ করিবার দে। বৎসর পরে (অর্থাৎ, ১৮৩০৩১ খ্ৰীষ্টাব্দের বার্ষিক পরীক্ষার পর ) ১৮৩১ খ্ৰীষ্টাব্দুের মাৰ্চ মাস হইতে ঈশ্বরচন্দ্র মাসিক ৫২ করিয়া বৃত্তি লাভ করেন। কৃতী ছাত্রদিগকে