পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীনবন্ধু ও বাংলাসাহিত্য גלג জাতীয় ব্যঙ্গে আমাদিগের ভালবাস জন্মিতেছে। অাগেকার লোক কিছু মোট কাজ ভাল বাসিত , এখন সরুর উপর লোকের অনুরাগ । আগেকার রসিক, লাঠিয়ালের ন্যায় মোটা লাঠি লইয়া সজোরে শত্রুর মাথায় মারিতেন, মাথার খুলি ফাটিয়া যাইত। এখনকার রদিকের ডাক্তারের মত, সরু লানসেটখানি বাহির করিয়া, কখন কুচ করিয়া ব্যথার স্থানে বসাইয়া দেন, কিছু জানিতে পারা যায় না, কিন্তু হৃদয়ের শোণিত ক্ষতমুখে বাহির হইয়া যায়। এখন ইংরেজ-শাসিত সমাজে ডাক্তারের শ্ৰীবৃদ্ধি-লাঠিয়ালের বড় দুরবস্থা। সাহিত্য সমাজে লাঠিয়াল আর নাই, এমন নহে-দুর্ভাগ্যক্রমে সংখ্যায় কিছু বাড়িয়াছে, কিন্তু তাহদের লাঠি ঘুণে ধরা বাহুতে বল নাই, তাহারা লাঠির ভরে কাতর, শিক্ষা নাই, কোথায় মারিতে কোথায় মারে। লোক হাসায় বটে, কিন্তু হাস্তের পাত্র তাহার স্বয়ং। ঈশ্বর গুপ্ত বা দীনবন্ধু এ জাতীয় লাঠিয়াল ছিলেন না। র্তাহীদের হাতে পাকা বাশের মোট লাঠি, বাহুতে অমিত বল, শিক্ষাও বিচিত্র। দীনবন্ধুর লাঠির আঘাতে অনেক জলধর ও রাজীব মুখোপাধ্যায় জলধর বা রাজীবজীবন পরিত্যাগ করিয়াছে । কবির প্রধান গুণ, সৃষ্টি-কৌশল। ঈশ্বর গুপ্তের এ ক্ষমতা ছিল না। দীনবন্ধুর এ শক্তি অতি প্রচুর পরিমাণে ছিল। তাহার প্রণীত জলধর, জগদম্ব, মল্লিক, নিমৰ্চাদ দত্ত, প্রভৃতি এই সকল কথার উজ্জল উদাহরণ। তবে, যাহা স্বক্ষ, কোমল, মধুর অকৃত্রিম, করুণ, প্রশান্ত— সে সকলে দীনবন্ধুর তেমন অধিকার ছিল না। র্তাহার লীলাবতী, মালতী, কামিনী, সৈরিন্ধী, সরল, প্রভৃতি রসজ্ঞের নিকট তাদৃশ আদরণীয়া নহে। তাহার বিনায়ক, রমণীমোহন, অরবিন্দ, ললিতমোহন মন মুগ্ধ করিতে পারে না । কিন্তু যাহা স্থল, অসঙ্গত, অসংলগ্ন,